ভোটার তালিকা হালনাগাদের ফর্মুলা দিলেন নাজমুল হুদা
অল্প খরচে ৭দিনের মধ্যেই দেশের ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এ বিষয়ে তিনি একটি নতুন ফর্মুলাও দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে স্বল্প ব্যয়ে কীভাবে জাতীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যায় সরকারকে তার দিকনির্দেশনা দেয়ার লক্ষে বিএনএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নাজমুল হুদা বলেন, ‘ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফটো তুলে ফরম পূরণ করে ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন অহেতুক কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু এই কাজটি অল্প সময় এবং স্বল্প ব্যয়ে সম্পন্ন করা যায়।’
স্বল্প ব্যয়ে কীভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব সে বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে প্রতিটি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে একজন করে সদস্য নির্বাচিত হয়। প্রত্যেক ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ওয়ার্ডগুলোতে গড় ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার। নির্বাচন কমিশন যদি এই ভোটারদের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্ব দেয় এবং সেই কমিটিকে কিছু অর্থের যোগান দেয় তাহলে অতি অল্প খরচে ৭দিনের মধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব।’
‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ কমিটি’ সম্পর্কে বিএনএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এ কমিটিতে বিগত নির্বাচনের সকল প্রার্থীরই প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। কারণ তারাই সবচেয়ে ভালো জানবে ভোটারদের মধ্যে কাদের মৃত্যু হয়েছে, কারা বাদ পড়ছে আর কারা নতুন ভোটার হিসেবে যোগদান করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই কমিটির সিদ্ধান্ত হতে হবে সর্বসম্মত যাতে করে একজনকে ডিঙিয়ে অন্যজন তালিকা প্রণয়নে কারচুপির আশ্রয় নিতে না পারে।’
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে মূল্যবান ভূমিকা পালন করে বলে জানালেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনএর মহাসচিব কমান্ডার মো. শহীদুর রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফয়েজ চৌধুরী, দপ্তর সম্পদক মো. আক্কাস আলী, কোষাধ্যাক্ষ মো. শামীম রেজা প্রমুখ।