লাখ টাকা ঘুষে ধর্ষকের সঙ্গেই তরুণীর বিয়ে
মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে আটক আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর বদলে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
জোরারগঞ্জ থানার এস আই নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে এ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে থানায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, গত রোববার সকালে উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলার সোনাপাহাড় মহানগর গ্রামের সাদ্দাম হোসেনসহ তার তিন বন্ধুকে আটক করে থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) নাজমুল হাসান। এরপর সারাদিন এ ঘটনায় মামলা না নিতে চলে দেনদরবার। একপর্যায়ে ওই তরুণীর সঙ্গে আটক সাদ্দামের বিয়ে দেয়ার শর্তে এসআই নাজমুল হাসানকে এক লাখ দেয়া হয় সাদ্দামের পরিবারের পক্ষ থেকে। তারপর রোববার রাতেই থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে তিন লাখ টাকা কাবিনে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে পড়ান বারইয়ারহাট পৌরসভার কাজী মো.ফারুক। তবে এস আই নাজমুল হাসান বলেন, ‘দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে আমাদের কোন ভূমিকা ছিল না। হাত খরচের জন্য পরিবার কাজী সাহেবসহ আমাদের কিছু টাকা দিয়েছে।’
নাজমুল হাসান আরো জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সাদ্দাম হোসেন ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত শুক্রবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। দুইদিন শারীরিক সর্ম্পকের পর সাদ্দাম হোসেন তাকে বিয়ে করতে অপারগতা জানান। এরপর ওই তরুণীর অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়।
ওই তরুণীর পরিবার ও সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যাওয়ায় রোববার রাতে তিন লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে। বিয়েতে সাদ্দামের সাথে আটক তার তিন বন্ধুকে সাক্ষী করা হয়েছে বলেও জানান এস আই।
ওচমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ এক লাখ টাকা নিয়ে একটি বিয়ে দিয়েছে এমন ঘটনা আমি শুনেছি। তবে থানার পক্ষ থেকে এ বিয়ে নিয়ে আমাকে কিছু বলা হয়নি।’