যে কোনো সময় মায়াকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হতে পারে
নারায়নগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় ছেলে ও জামাতার জড়িত থাকার অভিযোগে চাপে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। যে কোনো সময় তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই মায়াকে অনুপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তা নাহলে মন্ত্রিসভার ধারাবাহিক তিনটি বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত থাকতেন না। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় দলটি নেতারা এ নিয়ে কথা বলতে খুব একটা আগ্রহী নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলটির নেতারা মনে করছেন যে নারায়নগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে মন্ত্রী মায়ার পরিবারের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় সরকারি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
মায়াকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের জন্য মন্ত্রীত্ব কোনো বিষয় নয়। আগে দল, পরে মন্ত্রীত্ব।
‘কাউকে মন্ত্রিসভায় আনা বা পদত্যাগ করানো সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। তিনি যাকে ইচ্ছা মন্ত্রিসভায় রাখেন বা আনেন। মায়াকে পদত্যাগ করানোর মত কোনো আলোচনা আমাদের দলীয় ফোরামে এখনও হয়নি, হওয়ারও কথাও নয়। এটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।’
তবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও ত্রাণ ও পুণর্বাসন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পিএস শহীদুল হক মিলন বলেন ‘মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দুপুর ১২টায় থাইল্যান্ড গেছেন। তিনি ২২ মে দেশে ফিরবেন। ইচ্ছা করেই তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।’
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে ছেলে ও জামাতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের পর মায়া নজিরবিহীনভাবে তিনটি বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে প্রথম দুটি বৈঠকে কোনো কারণ না জানিয়ে এবং সর্বশেষ বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।