একজন গর্ভবতী নারীকে যে কথাগুলো ভুলেও বলা উচিত নয়
একজন নারী যখন গর্ভধারন করে তখন নানান রকমের দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, বিষন্নতা ভর করে তার মনে। আর এসব মানসিক সমস্যার অনেক গুলোই সৃষ্টি করে তার পাশেপাশের মানুষজন। খুব কাছের মানুষরাই নানান নেতিবাচক কথা বলে গর্ভবতী মায়ের মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে নানান মানসিক চাপের কারণে গর্ভবতী মা ও গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। তাই গর্ভবতী নারীকে কিছু বিশেষ নেতিবাচক কথা কখনই বলা উচিত না। জেনে নিন ৫টি নেতিবাচক কথা সম্পর্কে যেগুলো গর্ভবতী মাকে কখনই বলা উচিত না।
এতো মুটিয়ে গেছো! কিভাবে কমাবে?
গর্ভধারন করলে কিছুটা ওজন বাড়াই স্বাভাবিক। এসময়ে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আসে এবং প্রচুর বিশ্রাম নেয়া হয়। ফলে ওজন বেড়ে যায় বেশ কিছুটা। আর তাছাড়া এসময়ে নিয়মিত ডায়েটিং কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়ামও করা যায় না। তাই শরীরের মেদ বেড়ে যায়। এটা নিয়ে এমনিতেই গর্ভবতী নারীরা কিচুটা দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাই তাকে মুটিয়ে যাওয়ার বলে নতুন করে মানসিক যন্ত্রনায় ফেলবেন না।
চেহারা সুন্দর হয়ে গেছে মেয়ে হবে/ চেহারা খারাপ হয়ে গেছে ছেলে হবে
চেহারা দেখে সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সেটা কখনই বলা উচিত না। কারণ এতে গর্ভবতী নারীর মনে সন্তান ছেলে হবে বা মেয়ে হবে সেটা নিয়ে আশা জন্মে যায়। কিন্তু পরবর্তিতে কাঙ্খিত লিঙ্গের সন্তান না হলে হতাশা জন্মে যায় মনে। তাই এধরণের ভবিষ্যৎ বানী না করাই ভালো।
তোমার এই সুন্দর চুল তো পড়ে যাবে সব
গর্ভের সন্তানের জন্মের পর হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেকের চুল পড়া বেড়ে যায়। আবার কারো কারো এধরণের সমস্যা একেবারেই হয় না। কিন্তু সন্তান গর্ভে থাকাকালীন সময়ে গর্ভবতী নারীদেরকে চুল পড়ে যাওয়ার কথা বলে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়া একেবারেই উচিত না।
বাচ্চা হওয়ার পর রাতের ঘুম হারাম
সন্তান জন্মের পড়ে সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য মায়ের রাতের ঘুম কিছুটা কমে যায়। প্রত্যেক মায়েরাই সন্তান পালনের সময় এই কষ্টটি করেছেন। কিন্তু সন্তান গর্ভে থাকাকালীন সময়ে গর্ভবতী নারীকে সন্তান পালন করা অনেক ঝামেলা, রাতে ঘুম হবেনা, নিজের জন্য মা কোনো সময় পাবে না এধরণের কথা গুলো বলে ঘাবড়ে দেয়া উচিত না। এতে গর্ভবতী নারীর মনে চাপ সৃষ্টি হবে এবং মা ও সন্তান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তোমার ক্যারিয়ার শেষ
সন্তানের দেখা শোনা করার জন্য চাকরীর পাশাপাশি একটু বেশিই সময় দিতে হয়। অনেক মা সন্তানের জন্য চাকরীও ছেড়ে দেন। আবার কিছু মা খুব সুন্দর ভাবেই সামলে নিতে পারেন সন্তান ও চাকরী দুটিই। এটা পুরোপুরিই নির্ভর করে মায়ের ইচ্ছা শক্তির উপর। তাই গর্ভধারন করা মানেই ক্যারিয়ার শেষ এমন কোনো কথা নেই। তাই এধরণের অমূলক কথা বলে গর্ভবতী মায়ের মনে চাপ সৃষ্টি না করাই ভালো।