একরামুল হত্যার ঘটনায় ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সন্দেহে দু’টি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিগগিরই হত্যাকাণ্ডে মূল আসামিদের সম্পর্কে জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে আজ সকাল নয়টায় ফেনী শহরের মিজান ময়দানে একরামুলে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন হাজারী , জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ও ফেনী-১ আসনের সাংসদ শিরিন আক্তার, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ জাহানারা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমানসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।
এর পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য লাশ ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া দৌলতপুরে। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে বিলাসী সিনেমা হলের কাছে একরামুলকে গাড়ির ভেতরে গুলি করার পর গাড়িসুদ্ধ পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষসহ পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷ বিকেলে ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১২টার পর লাশ ফেনীতে ফেরত আসে।
ফেনী শহরে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।