প্রধানমন্ত্রীর গোপন রেকর্ড : মুখ খুললেন মুন্নী সাহা

munni_sahaনিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী সাংবাদিক মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গোপনে রেকর্ডের সংবাদ প্রকাশ হয় কয়েকদিন আগে। এটি নিয়ে চলে ব্যাপক বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে মুন্নী সাহা একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি গোপনে করা হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে নেওয়া এবং সেখানে বিব্রতকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। মুন্নী সাহা সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি তো একজন রিপোর্টার। সেদিন ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছিলাম। ইন্টারভিউ নিয়েছি। ইন্টারভিউয়ের পরে ইকবাল ভাই বলেছে, নিউজটা দিয়ো না। আমাকে একটু সন্দেহ করছিলো যে, আমি যদি দিয়ে দেই। আমি বললাম- ঠিক আছে, তাহলে টেপ রেখে দেন। রেখে দিয়েছে। এটার মধ্যে তোলপাড় করার কী আছে! আর একজন সাংবাদিকের কাজ হলো, আমি লুকিয়েও (যদি) কিছু করে থাকি; সেটাও একজন বড় ও ভালো সাংবাদিকের কাজ। কূট নিউজ কিভাবে বের করে?

এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়ায় যে বিতর্ক সৃষ্টির পেছনে সংবাদ সংকট চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তিনি খুশি। এ প্রসঙ্গে মুন্নী সাহা বলেন, বিতর্ক হওয়ায় আমি খুবই খুশি এবং বিতর্ক আরেকটু চলতে থাকুক। আমি যথেষ্ট বিখ্যাত বাংলাদেশে। এখন বাংলাদেশে নিউজ ক্রাইসিস চলছে তো, তাই এখন আমাকে নিয়ে নিউজ করতেছে। আমি ভেরি হ্যাপি! এবং সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বিতর্ক চলুক, চলতে থাক! আমি এটা চাই।

আর এই বিতর্ক ছড়ানোর পেছনে সাংবাদিকদের হীনমন্যতা কাজ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যামেরা না ভাই! ক্যামেরা নিতে পারে না, আপনারা না জেনে প্রশ্ন করেন কেনো? ক্যামেরা কিভাবে নিবে? আমার সাথে দুইটা বড় বড় ক্যামেরা। আমি নিজেই টেপটা দিছি। পরিস্কার করে লেখবেন- টেপটা আমি নিজেই দিছি।

এ বিষয়ে মুন্নী সাহা আরো খোলাশা করে বলেন, কেড়ে নিবে কেন আমার কাছ থেকে? প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমি সময় নিয়ে গেছি। সাংবাদিকতা করলে কিছু নিয়ম জানতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে হুট করে ফট করে পৌঁছানো যাওয়া যায় না। এটা একটা প্রটোকলের মাধ্যমে যেতে হয়। আমার টাইম কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত এগুলো সব ছিল।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend