নারায়ণগঞ্জে সাত খুন তারেক ও আরিফের আরও আটদিনের রিমান্ড
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে এ দুজনকে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে তাঁদের আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
শুনানি শেষে কড়া পুলিশি প্রহরায় তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও আরিফ হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে এ র্যাবের সাবেক এই দুই কর্মকর্তাকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
১৭ মে ভোররাতে মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তাকে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন র্যাবের সাবেক আরেক কর্মকর্তা এম এম রানাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাত খুনের ঘটনার পর র্যাব-১১-এর এই তিন কর্মকর্তাকে নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত নেওয়া হয়৷ তারপর তাঁদের অবসরে পাঠানো হয়। ১১ মে হাইকোর্ট তাঁদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরপর ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামত চেয়ে প্রতিরক্ষা সচিবকে চিঠি পাঠায়। ১৫ মে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হয়৷ এতে বলা হয়, ‘আপনাদের সদয় অবগতির জন্য উল্লেখ করা যাচ্ছে যে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদ্বয় সম্পর্কে দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।’
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরও একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নজরুলের পরিবার। ৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাবের তিন কর্মকর্তা ওই সাতজনকে অপহরণ ও খুন করেছেন।