রংপুরে ঝড়ে পাঁচ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত
রংপুর জেলা সদর, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে গাছ-পালা। গতকাল বুধবার রাতের এই ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
জেলার মধ্যে কাউনিয়া উপজেলার নজিরদহ ও সাবদি গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকার মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ঘর-বাড়ি হারা মানুষরা জানিয়েছেন, সরকারী কোন সাহায্য বা কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা তাদের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি।
রংপুর সদর উপজেলায় ঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ধান ও ভুট্টা খেত ঝড়ো বাতাসে নুয়ে পড়েছে। নগরউত্তমের ভুট্টা চাষি মাজাহারুল ইসলাম মাজাহার জানান, ৪ বিঘা জমির ভুট্টা ঝড়ো বাতাসে মাটির সাথে মিশে গেছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলে তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছ-পালা। ঘর-বাড়ি হারিয়ে তারা খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন।
কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ ও সাবদি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই দুই গ্রামের বেশকিছু গাছ-পালা। বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এতে করে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ঝড়ে কমপক্ষে শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব হোসেন সরকার জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিনি বিভিন্ন এলাকায় লোক পাঠিয়েছেন। তারা রিপোর্ট দিলেই বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, কুর্শা ইউনিয়নের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৮ থেকে ৭৫ কিলোমিটার।এ সময় প্রায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।