গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোড শেডিং ; শ্রীবরদীতে আবাসিক বিদ্যূৎ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

download (2)শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শ্রীবরদীতে গরমে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। প্রচন্ড তাপদাহ আর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনগন। লোডশেডিং এ স্থবির হয়ে পড়েছে অফিস আদালতের কাজকর্ম। এছাড়া মিটার না দেখে অফিসে বসে বিল করায় ভূতুড়ে বিলের ঘানি টানছে সাধারণ গ্রাহকরা।স্থানীয়রা জানায়, শ্রীবরদীতে দিনে রাতে প্রায় ১৪/১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে বা একটু জোড়ে বাতাস বইলে তো কথাই নাই। যে আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় বা জোড়ে বাতাসবয় সেদিন ২৪ ঘন্টাই বিদ্যুতের দেখা মেলে না। প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুৎ না থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে শ্রীবরদীর জনগণ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদীর আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খান শ্রীবরদীতে অফিস করেন না। তিনি সব সময় শেরপুরে অবস্থান করেন। লোড শেডিং এর কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলা আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খানের ব্যক্তিগতভাবে দেয়া অবৈধ লাইনের বিল সমন্বয় করতে গিয়ে এ লোড শেডিং এ পড়ছে উপজেলাবাসী। অভিযোগ রয়েছে বৈধ সংযোগধারীদের নিয়মিত মাসিক বিল পৌছে দেয়ার নিয়ম থাকলেও মাসের পর মাস পার হলেও গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল পায় না। সেচ ও বাণিজ্যিক লাইনে সরকার থেকে বিনামূল্যে মিটার দেয়ার কথা থাকলেও উপজেলা বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মিটারের বিনিময়ে আদায় করছে টাকা। আর কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার নামে মিথ্যা মামলা সহ হয়রানী করছে। নিয়মানুযায়ী প্রতিমাসে মিটারের রিডিং দেখে বিদ্যুৎ বিল করার কথা থাকলেও শ্রীবরদীতে বিদ্যুৎ বিল করা হয় বিদ্যুৎ অফিসে বসে। আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর অবৈধ লাইনে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ইউনিট চাপানো হয় বৈধ গ্রাহকদের ঘাড়ে। ফাটা তারের বিদ্যূৎ লাইন সম্পুর্ণ অবৈধ হলেও ইয়াহিয়া খান শ্রীবরদীতে এখনও ফাটা তারের লাইন চালু রেখেছেন। উপজেলা পরিষদের কমাউন্ড সহ প্রায় এলাকায় রয়েছে এ ফাটা তারের বৈদ্যুতিক লাইন। এতে যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। পৌরসভার উত্তর শ্রীবরদী মহল্লার আছমত আলী, নজরুল ইসলাম, সাফিজল হক, ওয়াহিদুজ্জামান, আবুল কাশেম, নূর আলম লিখিত অপর অভিযোগে জানান, গত বছর ১৮ মে থেকে ২৬ জানুয়ারী ২০১৪ পর্যন্ত ট্রান্সফরমারের একটি ফেজ বিকল থাকায় তাদের সেচ পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধ থাকা এ ৪ মাসে আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী এদের কাছ থেকে ৬/৭ হাজার টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল আদায় করে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের নামে আবারো বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। অভিযোগে আরও প্রকাশ, আবাসিক বিদুৎ প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খান শেরপুর অফিস থেকে ৪ হাজার ৪‘ ফিট তার নিয়ে আসে শ্রীবরদীর হরিজন কলোনী থেকে উত্তর বাজার মোড় পর্যন্ত বিদ্যূৎ লাইন মেরামতের জন্য। কিন্তু তিনি ওই লাইনের ৪ স্পেন পর্যন্ত  ২ হাজার ফুট পর্যন্ত মেরামত করে বাকি তার কালো বাজারে বিক্রি করে আতœসাৎ করেন। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গিলাগাছা গড়গড়িয়া গ্রামে ৪ হাজার ফুট দুরত্বে ২ তারের লাইন দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পর পর কয়েকদিন শ্রীবরদী আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend