মহাসমাবেশে পুলিশি বাধায় সরকারকে সতর্ক করলেন খন্দকার মাহবুব
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসমাবেশকে পুলিশ দিয়ে ঠেকানোর পরিণাম সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক করেছেন বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশে বক্তব্য দানকালে সরকারকে উদ্দেশ্যে করে খন্দকার মাহবুব এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আইউব, ইয়াহিয়া, এরশাদকে দেখেছি। কোনো স্বৈরাচার স্থায়ী হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যাপক জনসমর্থিত নেতা ছিলেন। কিন্তু গণতন্ত্র বিপন্ন হওয়ায় তিনি টিকতে পারেননি। তাঁকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল।
খন্দকার মাহবুব বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান রক্ষী বাহিনী দিয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছিল। সে ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। এ সরকারকেও করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে।
পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে মাহবুব আরও বলেন, আজকের সমাবেশ কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ ছিল না। এটি ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার আন্দোলন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, সুপ্রীম কোর্ট প্রঙ্গণে সমাবেশ করতে হলে পুলিশ প্রশাসনের কোন অনুমতি লাগে না। শুধুমাত্র প্রধান বিচারপতিকে অবগত করতে হয়। আমরা প্রধান বিচারপতিকে অবগত করার পরও পুলিশ সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবদিী আইনজীবীদের সমাবেশ ঠেকাতে সুপ্রিম কোর্টের মেইন গেট ও বার কাউন্সিলের পাশের গেটসহ সকল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের মাজারগেট এলাকায় স্লোগান দেওয়ার সময় ১৫ জন আইনজীবীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।
আটককৃত আইনজীবীরা হলেন- জহিরুল হাসান মুকুল, কামরুল হাসান, আতাউর রহমান, শাহাদাত হোসেন ও এএসএম মাসুদ হোসেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাকীদের নাম জানা যায়নি।
এদিকে তল্লাশি করে সীমিত পরিসরে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও কোনো আইনজীবীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না আদালত প্রাঙ্গণে।
দেশের আইনের শাসন, খুন, গুম অপহরণ ও নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী চন্দন সরকারের হত্যার প্রতিবাদে এ মহাসমাবেশের ডাক দেয় জাতীয়তাবাদি আইনজীবী ফোরাম।