অবৈধ সরকার ভয়ে কোন সমাবেশ করতে দিচ্ছে না : খালেদা জিয়া
অবৈধ সরকার ভয়ে কোন সমাবেশ করতে দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদীবাদী আইনজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ভয়ে তারা আজ কোন সমাবেশ করতে দিতে চায় না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বেশি বাড়া ভালো নয়। কথায় আছে না অতি বড় হয়ো না ঝড়ে পড়ে যাবে, অতি ছোট হয়ো না ছাগলে মুড়ে খাবে।
বেগম জিয়া বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ভাবে র্যাবকে ব্যবহার করছে। আমরা কখনো র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিনি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, র্যাব, ডিবি’র সাদাপোশাকে হানা দিয়ে মাঝরাতে কোনো গ্রেপ্তার হবে না। সাক্ষী রেখে, সেই ব্যক্তির পরিবারকে লিখিতভাবে জানিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা তা করবে না, অতি উৎসাহী হয়ে যারা এই সরকার যা বলছেন, তাই করছেন, তারা দায় এড়াতে পারবেন না।
খালেদা বলেন, দেশে শুধু কান্নার রোল। শুধু স্বজনহারানোর ব্যথা। মায়ের চোখের পানির জন্য একদিন অনেক ভুগতে হবে।
তিনি বলেন, এখন সর্বত্রই লাশ আর লাশ। এজন্য শেখ হাসিনাকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। কারণ এই দিনই দিন নয়, দিন আরও আছে।
খালেদা বলেন, এই অবৈধ সরকার দিয়ে কোনো কিছু হবে না। শুধু দুর্নীতি বাড়বে, শুধু মুখে বড় বড় কথা। বাংলাদেশের এখন কোনো সুনাম নেই।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করবেন, নিজেরা নিজেরা মরবেন। কারণ আল্লাহর একটা বিচার আছে। এমন ভাবে পড়বেন, আর ওঠা সম্ভব হবে না।
খালেদা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ধরা হয় নাই। প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। যাদের ধরেছে, তারাও আছে জামাই আদরে।
এর আগে খালেদা জিয়া বেলা সোয়া ১২টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌছান। অব্যাহত খুন ও গুমের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। পুলিশি বাধায় শেষ পর্যন্ত আইনজীবীরা সেখানে সমাবেশ স্থগিত করে প্রেসক্লাবে এসে সমবেত হন।
প্রেসক্লাব মিলনায়তনের এই সমাবেশে উপস্থিত আছেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ আরও অনেকে।