ভাবির দুই হাতের কবজি কেটে নিলেন দেবর
রাজশাহীর পবায় ভাবির দুই হাতের কবজি কেটে ফেলেছেন দেবর। ভাবিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর দেবর পালিয়েছেন।
ঘটনাটি আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটেছে। ভাবির নাম আয়শা খাতুন। দেবর সোনারুল ইসলাম। তাঁদের বাড়ি পবা উপজেলার দারুশা ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সক আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে জানান, আজ বেলা দেড়টার দিকে আয়শাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর দুই হাতের কবজি কেটে ঝুলে গেছে। এ ছাড়া তাঁর বাঁ হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন ও পিঠের বাঁ পাশে বড় ধরনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।
দুপুরে হাসপাতালে আয়শার স্বামী ইউনুস আলী দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী আয়শা বাড়ির উঠানে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। এ সময় তাঁর ছোট ভাই সোনারুলের স্ত্রী সুমী খাতুন চালের কুঁড়া ঝাড়ছিলেন। কুঁড়া বাতাসে উড়ে তাঁদের ঘরের জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকছিল। এ নিয়ে তাঁর স্ত্রী আয়শার সঙ্গে সুমীর কথা-কাটাকাটি হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর ছোট ভাই সোনারুল হাঁসুয়া নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি আয়শাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। আয়শাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনো পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
পবা থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত তাঁরা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।