একরাম হত্যাকাণ্ড : আ.লীগ নেতা শিবলুর আত্মসমর্পণ

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে ফেনী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ ওরফে শিবলু থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঢাকায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আট যুবকের দেওয়া তথ্যের পর আজ শিবলু ফেনী মডেল থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
ফেনী মডেল থানায় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, ঢাকায় যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের ফেনী নেওয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এরপর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কথা শোনার পর শিবলুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদি হত্যাকাণ্ডে তাঁর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিবলুর বিরুদ্ধে ফেনী থানায় বর্তমানে বা আগে কোনো মামলা আছে কি না—জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আগের মামলা সম্পর্কে নথিপত্র না দেখে কিছু বলা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আত্মসমর্পণের আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিবলু তাঁর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁকে জড়িয়ে যেসব কথা লেখা হচ্ছে, তা সত্য নয়। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং একরামুলের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধ ছিল না বলে জানান।

২০ মে বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি বিলাসী সিনেমা হলের সামনের রাস্তায় চেয়ারম্যান একরামুল হককে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থনের পাশেই ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা শিবলুর বাড়ি। তিনি ফেনীর আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারীর কথিত স্টিয়ারিং কমিটির প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend