জিনের বাদশা সেজে ধরা পড়লো পুলিশ
জিনের বাদশা সেজে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন পুলিশের কনস্টেবল ও তার এক সহযোগী। রাজধানীর রামপুরা থানা এলাকায় প্রতারণা করে টাকা নিতে গিয়ে প্রথমে তারা গণধোলাইয়ের শিকার হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পশ্চিম রামপুরায় এই ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নীলক্ষেত থানার পুলিশ কনস্টেবল (কন. নম্বর-৩২৭৯) মাজহারুল ইসলাম ওরফে মাজেদুল (৩২) ও তার সহযোগী মাহমুদুল ইসলাম (২৬)। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মারিয়া গ্রামে। রামপুরা থানার এসআই মামুনুর রশীদ মামুন জানান, জিনের বাদশা সেজে প্রতারক চক্রের সদস্যরা ৬ মাস ধরে পশ্চিম রামপুরার বাসিন্দা আব্দুল জলিল রতনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে আসছিল। এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা জলিলকে সাত হাড়ি (মাটির পাতিল) স্বর্ণ দেয়ার বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। সরল বিশ্বাসে জলিল তাদের সে কথায় রাজি হয়। শনিবার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতারক চক্রের তিন সদস্য ২৬/২, পশ্চিম রামপুরায় অবস্থিত আব্দুল জলিলের বাসায় আসে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে জলিলের বিশ্বাস অর্জনের জন্য স্বর্ণ দিয়ে তৈরি দাবি করে তাকে একটি মূর্তি দেয়। এসময় জলিলের সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে দিয়ে তা পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন মূর্তিটি পিতলের তৈরী। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দুইজনকে আটক করতে পারলেও রুবেল নামে তাদের অপর সহযোগী আহতাবস্থায় পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, আটক দুই জনের মধ্যে মাজেদুল নামের এক পুলিশ কনস্টেবল রয়েছেন (কন. নম্বর-৩২৭৯)।
অপরজন তার সহযোগী মাহমুদুল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।