না’গঞ্জে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রী ধর্ষণ
নারায়ণগঞ্জে’র সোনারগাঁও উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে চার পাষণ্ড।
রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের হাবিবপুর গ্রামের মো. মোস্তফার পুত্র শাহিন মিয়া (২৩), মহারাজ বেপারীর পুত্র শাকিল আহম্মেদ (২৫), শফিউদ্দিনের পুত্র মনির (৩০) ও মতলব থানার পরিক্ষীত চন্দ্র দাসের পুত্র সুমন চন্দ্র দাস (২৪)।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের হাবিবপুর গ্রামের মহারাজ বেপারীর বাড়িতে স্থানীয় মনির হোসেনের মাধ্যমে একটি বাসা ভাড়া নেন স্বামী স্ত্রী। বাসায় ওঠার পর তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন শাহিন, শাকিল, মনির ও সুমন।
এর জের ধরে রোববার রাতে বাসায় ঢুকে চাঁদার জন্য মারধর ও আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন সেট, একটি স্বর্ণের চেইন ও দুইটি আংটি সহ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
পরবর্তীতে স্বামী কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাতেই অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার স্ত্রীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি রেজাউল হক।