সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ
আজ সোমবার সন্ধ্যা ছটায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে ঠিক ছিল অন্তত তিন হাজার অতিথি আমন্ত্রিত হবেন। এখন শেষ বেলা দেখা যাচ্ছে সংখ্যাটা সম্ভবত চার হাজারে পৌঁছাবে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামেন আবদুল গাইয়ুম, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবে এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম (মরিশাস সার্ক সদস্য নয়, তবে পর্যবেক্ষক দেশ) যোগ দিচ্ছেন শপথ অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে থাকায় যোগ দিতে ইতিমধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ভাবী প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগে দেশে এবং বিদেশে সমালোচনা ও বিতর্কও রয়েছে। নওয়াজ শরিফ অনুষআনে যোগ দেওয়ায় তাঁর দেশের কট্টরপন্থী সংগঠন জামায়াত উদ দাওয়া ইতিমধ্যেই তাদের ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানোয় ভারতের তামিলনাড়ুর সব রাজনৈতিক দলই খড়্গহস্ত।
এদিকে রাজ্যের টিভিগুলো জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা নিজে তো আসছেনই না, সরকার বা দলের কোনো প্রতিনিধিও নাকি পাঠাচ্ছেন না। গোলাপের কাঁটার মতো এই রকমই খচখচ করছে কিছু মুখ্যমন্ত্রীর না আসার সিদ্ধান্ত। জয়ললিতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরালার ওমেন চণ্ডি অথবা কর্ণাটকের সিদ্ধারামাইয়া আসছেন না। অবশ্য মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকছেন।
জানা গেছে, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পর রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের সম্মানে নৈশভোজ দেবেন। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসবেন। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ আধা ঘণ্টা।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার সব রাস্তা গতকাল রোববার থেকেই সাধারণের জন্য বন্ধ। আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। প্রত্যেক বছর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার যে ধরনের বন্দোবস্ত হয়, আজও সে রকমই থাকছে। আকাশপথে রাষ্ট্রপতি ভবন ঘিরে দুই কিলোমিটার থাকছে ‘নো ফ্লাই জোন’। অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন কল ঠেকাতে গোটা চত্বর থাকবে জ্যামারের আওতায়।