শেরপুরের ভাতশালা ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নে জনঅংশগ্রহণে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ২৬ মে সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে স্থানীয় অধিবাসী ও সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ওই বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে ৮০ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়ে ৯৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা সম্ভাব্য আয় ও ৯৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা সম্ভ^াব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। আয়ের খাতে নিজস্ব তহবিলের ৫ লাখ টাকা ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারী-বেসরকারী সহায়তা হিসেবে ৯১ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। তন্মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ টাকা, এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ১৯ লাখ টাকা এবং আত্মকর্মসংস্থান ও কর্মসৃজন কর্মসূচি থেকে ৫২ লাখ টাকা পাওয়ার আশা করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাজেটে ব্যায়ের খাতে রাস্তা নির্মাণ ও মেরামত কাজে ৫২ লাখ টাকা, শিক্ষা কর্মসূচিতে ১০ লাখ টাকা, গ্রামীণ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে সেলাই মেশিন সরবরাহ খাতে ১০ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন উন্নয়নে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই বাজেট সভায় একইসাথে ২০১৩-২০১৪ অর্থ-বছরের ৯৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার সম্পুরক বাজেট উপস্থাপন করেন।
সুইস এজেন্সি ডেভেলপমেন্ট ফর কো-অপারেশন-এসডিসি’র সহায়তায় প্রিপ ট্রাস্ট পরিচালিত নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ‘অপরাজিতা’ প্রকল্পের আওতায় ভাতশালা ইউনিয়নের এ উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণার আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন প্রধান অতিথি ও সদর ইউএনও আইরীন ফারজানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা শামীমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রহিম মাস্টার, প্যাণেল চেয়ারম্যান হাছনা হেনা, শিক্ষক শামছুজ্জামান শামীম, আবুল কাসেম খান, ডা. আজাহার আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় এলাকাবাসী এভাবে প্রকাশ্যে বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করায় সন্তোাষ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী উন্নয়নে আরও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানান।