দেড় বছরেরও উদ্ধার হয়নি নরুন্দির অপহৃতা স্কুলছাত্রী জুঁই
জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দির মাঝপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের কন্যা ৭ম শ্রেণী পড়–য়া স্কুলছাত্রী জুঁই গত দেড় বছরেও উদ্ধার হয়নি। মেয়ে ফিরে পাবার আশায় অপহৃতার পরিবার আজও পথ চেয়ে বসে আসে। বেঁচে আছে কি-না তারও নিশ্চিত নয়।জানা গেছে, নরুন্দি মাঝপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বিশাল সম্পত্তির মালিক জাহাঙ্গীর আলমের একমাত্র কন্যা জাহিদা আক্তার জুঁই (১২) নরুন্দি সৈয়দা নাজিবা আক্তার বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। গত ২ জানুয়ারি/১৩ তারিখ আনুমানিক ১০টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাবার সময় একই গ্রামের মাঝপাড়া ইয়াদ আলীর দোকানের সামনের পাকা রাস্তা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাস যোগে জোরপূর্বক জুঁইকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে অগ্যতা ৪ জানুয়ারি/১৩ তারিখে অপহৃতার পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। পুলিশী অভিযানে এ মামলার আসামি গ্রেপ্তার হলে জুঁই অপহরণের কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও মামলার মূল আসামি সটকে পড়ে। ধারনা করা হচ্ছে বিশাল সম্পত্তির মালিক হবার সুবাদে অপহরণকারীরা জুঁইকে অস্ত্র হিসেবে বেঁছে নিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় পর্যালোচনা করে ৯জনের নামে চার্জশীট দাখিল করে। মামলার ১নং মূল আসামি গ্রেপ্তার না হবার কারণে জুঁইকে উদ্ধার করা আজো সম্ভব হয়নি।
জু্ইঁয়ের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণকারীরা জুঁইকে কী হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে? এছাড়া অপহরণের দেড় বছরেও জুঁই উদ্ধার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শোকে কাতর জুঁইয়ের পিতা-মাতা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা জানান, জুঁই বরাবরই ক্লাশে প্রথম স্থান অধিকার করতো। দাম্পত্য জীবনে তাদের একমাত্র সন্তান হবার সুবাদে জুঁইকে ঘিরেই ছিল পরিবারের সব আশা-ভরসা। এলাকাবাসী জুঁইকে উদ্ধারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।