গোটা দেশটাকে আওয়ামী লীগ গিলে ফেলেছে : ফখরুল
দুনীর্তি আর অর্থ লোপাটের মাধ্যমে গোটা দেশটাকে আওয়ামী লীগ গিলে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর।
সোমবার বিকেলে খুলনায় নগরীর শহীদ মহারাজ চত্বরে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বতৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, গোটা দেশ আওয়ামী লীগে গিলে ফেলছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ নদী থেকে সবকিছু দখল করে নিচ্ছে। গত ৭ বছর ধরে তারা দুর্নীতি করছে। পদ্মা সেতু, হলমার্ক, শেয়ার বাজার থেকে এ দলের নেতা-কর্মীরা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে।
ফখরুল আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি করতে পারবে না বলে বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ না নিয়ে চীনা কম্পানিকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই কম্পানির একটি কাজের মোটা অংকের টাকার সরকারি দলের নেতারা লোপাট করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বর্তমান সরকার অবৈধ আখ্যা দিয়ে বলেন, এ সরকার গোটা দেশ মৃত্যু পুরীতে পরিণত করেছে। গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত এ সরকার ৩১০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা, ৬১ জনকে গুম করেছে। তারা র্যাব-পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। জঙ্গিবাদ দমনের জন্য বিএনপি আমলে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। একারণেই দলীয় চেয়ারপার্সন র্যাবের বিলুপ্ত চেয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগে ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যা, খুন, গুম করলেও এখন নিজেরা নিজেরা খুনখুনী করছে। নারায়ণগঞ্জ, ফেনীতে নিজেদের দলের লোকেরাই নিজেদের হত্যা করছে। অথচ সরকার এসব ঘটনায় দ্বায় বিএনপির উপর চাপানোর চেষ্টা করেছে।
তিনি অবিলম্বে মানে মানে এ সরকারকে বিদায় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, হত্যা, গুম, খুন করে বাংলার মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তা না হলে জনগণ আপনাদের টেনে হিঁচরে ক্ষমতা থেকে নামাবে; তখন আর পালাবার পথও খুঁজে পাবেন না।
মির্জা ফখরুল অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির নগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, জেলা সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা, কেন্দ্রীয় নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, ডা: আব্দুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন নগর নেতা ফখরুল আলম ও আসাদুজ্জামান মুরাদ।