সাত খুন মামলার সাক্ষীকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়
নারায়ণগঞ্জ চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার প্রতক্ষ্যদর্শী সাক্ষী এইচএম জামালউদ্দীনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে অপহরণকারীরা। সেই সঙ্গে মারধর করে সাদা স্ট্যাম্পে টিপসই নিয়ে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্টের সামনে ফেলে রেখে গেছে। এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হুমকি দেয়া হয়েছে প্রাণনাশের। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করেছেন অপহরণের শিকার মাসদাইর এলাকার মৃত মজিবুল হকের ছেলে জামালউদ্দীন। গত ২৩ মে অপহরণ করার পরদিন ভোরে জামালউদ্দীনকে নতুন কোর্টের সামনে ফেলে রেখে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা নিয়ে তিনি আদালতে আসেন। তবে আদালত এ ব্যাপারে এখনও কোনো আদেশ দেননি।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জ জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকা হতে জামালউদ্দীন অপহৃত হন। সিএনজি অটোরিকশায় করে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল চাপা দিলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে চোখ খুলে দেখতে পান তিনি অজ্ঞাতস্থানে। সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি এলাকার মিজানুর রহমান, জমিসউদ্দীন, আব্দুর রব, দুলাল কাণ্ডারী, আব্দুল লতিফ, আলমগীর, নজরুল, আবুল হাসেম, বশির, মোবারককে দেখতে পান। তারা তাকে মারপিট করে।
এরপর রাত ১২টায় জামালউদ্দীনের স্ত্রী মাসুদাকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না হলে তাকে মেরে ফেলা হবে জানিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক মাসুদা বেগম স্বামীকে বাঁচাতে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জেলা পরিষদের সামনে এসে অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেন। পরে তারা জানিয়ে যায় ২/১ ঘণ্টার মধ্যে তার স্বামীকে ফেরৎ দেয়া হবে।
পরবর্তীতে ভোর ৪টার দিকে নতুন কোর্টের সামনে জামালউদ্দীনকে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। কাউকে না জানাতেও হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। এর আগে তারা জামালউদ্দীনের কাছ থেকে দেড়শ’ টাকা মূল্যের অলিখিত স্টাম্পে জোর করে টিপসই নেয়।
জামালউদ্দীন নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার জন্য আবেদন করেন।