একরামুল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল পুলিশের হাতে
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামি জাহিদ চৌধুরীর কার্যালয় থেকে একটি পিস্তল ও চারটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পিস্তলটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফেনী থানার উপপরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আসামি জাহিদ চৌধুরীর কার্যালয়ে টেলিভিশন বাক্সের ভেতর থেকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তাঁর কার্যালয়টি শহরের মিজান রোডের সালাম কমিউনিটি সেন্টারের পেছনে। গত রোববার হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন জাহিদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার জাহিদকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্য অনুসারে তাঁর কার্যালয় থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা সব আসামিকে পুলিশ পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দলের আজ ফেনীতে পৌঁছানোর কথা।
তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া সব কথা বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ফেনী শহরের একাডেমি সড়কের বিলাসী সিনেমা হলের সামনে চেয়ারম্যান একরামুল হককে নিজ গাড়িতে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে জাহিদ চৌধুরী, শিবলু কাউন্সিলার ও আবিদসহ ১০ জনকে আট দিন করে এবং পাঁচজনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। অন্য দুজনকে আজ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।