ঝিনাইগাতীর ধানশাইল বাজারে কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের গোপন তথ্য ফাঁস !

Sreebordi 1ঝিনাইগাতী প্রতিনিধিঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল বাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৮মে/২০১৩ বুধবার ভোর রাতে কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের  যে ঘটনা ঘটেছিল, তার গোপন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অনুসন্ধানে এবং তৎসময়ে গ্রেফতারকৃত আসামী আকিবুল ইসলাম পিতা মুনছর আলী, শফিকুল ইসলাম শুক্কু পিতা মৃত আজিজুল হক, সাং ধানশাইল মোকদ্দমা নং ৫, তারিখ ৮/৫/১৩ শেরপুরের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভবনে খাস কামড়ায় হাজির হয়ে স্ব-প্রনোদিত হয়ে উক্ত মামলার বিষয় সংক্রান্তে ১৬১ ও ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্ধি প্রদান করে। উক্ত জবানবন্ধিতে প্রতিমা ভাঙ্গচুর করার জন্যে মূলহোতা হিসেবে নাম প্রকাশ করে উপজেলা পুজাঁ উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ননী গোপাল রায় ও জমির দাবীদার দ্বাদশী রানীর নাম। তাদের নির্দেশ ও টাকার বিনিময়ে প্রতিপক্ষ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিককে ফাঁসাতে উক্ত প্রতিমা ভাঙ্গচুরের কাজ করেছে বলে তারা জবানবন্ধি দেয়। এই জবানবন্ধির প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হওয়া আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আকমল (৩০) জামিনে মুক্ত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো ধানশাইল এলাকাবাসীর মাঝে উপজেলা পুজাঁ উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদকের এ ধরণের ঘৃন্য কাজের সমালোচনা এবং এধরণের বির্তকিত ব্যক্তি কিভাবে মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানের দায়িত্ব পালন করে, এ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে ? এ ব্যাপারে ধানশাইল বাজারস্থ বারোয়ারী শ্রী শ্রী কালী মন্দির ও উপজেলা পুজাঁ উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ননী গোপাল রায়ের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগই মিথ্যা। পুলিশ প্রতিপক্ষের কাছে টাকা খেয়ে ধৃত আসামীদের মারপিট করে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তাদের দিয়ে আদালতে জবানবন্ধি আদায় করেছে, যাহা সর্ম্পূণ মিথ্যা”।

অন্যদিকে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক আলহাজ আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে মন্দির ভাঙ্গার ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন “ আমি জমির প্রকৃত ওয়ারিসের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রিমূলে জমিটি ক্রয় করি। কিন্তু উপজেলা পুজাঁ উৎযাপন কমিটি এবং মন্দির কমিটির সম্পাদক ননী গোপাল ও দ্বাদশী রানী আমাকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করতেই গভীর ষড়যন্ত্র করে নিজেরাই মন্দির ভাঙ্গচুর করে আমার ছেলেকে গ্রেফতার ও আমাকে ধারুন ভাবে হয়রানী করে। পরে আদালত প্রকৃত সত্য জেনে আমার ছেলেকে জামিন দেন। এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে বথা বলে জানা যায়, ননী গোপাল শুধু নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যেই অশান্তি সৃষ্টিতে বসে নেই, তাহার কু-পরিকল্পনাতে যেকোন সময় শান্তপ্রিয় ধানশাইল গ্রামের মধ্যে লেগে যেতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এলাকার সচেতন মহলের দাবী, আর দেরী না করে প্রশাসনিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার। আর যেন কোন নিরিহ নিরপরাধ ব্যক্তি ননী গোপালের চক্রান্তের শিকার না হয়।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com