জামায়াতকে সুযোগ দিতেই একটি মহল বিচারে তড়িঘড়ি করছে: আমু
আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে একটি মহল তড়িঘড়ি করে জামায়াতের বিচার চাইছে। আইনের বিধান মেনে আটঘাঁট বেঁধে জামায়াতের বিচার করা হবে। বলেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শনিবার বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ঢাকা বার শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, “পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র এঁটেছিল, তারা এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র কোনো ব্যক্তি, দল বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।”
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “দেশে আইনের শাসন ছিল না বলে ২১ বছর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এফআইআর করা যায়নি। আজ যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলছেন, তারাও কখনো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার হননি।” আইনের বিধান মেনে জামায়াতের বিচার করা হবে বলে জানান তিনি।
জামায়াতের বিচার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যকে সমর্থন করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “গবেষণা ও ট্রাইবুন্যালের বিচার এক কাজ নয়। বিচারের ক্ষেত্রে অতি-উৎসাহের কোনো সুযোগ নেই। জামায়াতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের আঁতাতের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।” জামায়াতের বিচার নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রকারান্তরে যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তা করার শামিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ঢাকা বার শাখার সভাপতি শেখ হেমায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ আবু, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবউল্লাহ হিরু ও সরদার মো. সুরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান হাওলাদার ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো. সামিউল হক (সামু) বক্তব্য দেন।