সাইফের সহায়তায় কারিশমার বিবাহ বিচ্ছেদ
ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন অনেক আগেই শেষ করেছেন কারিশমা কাপুর। কাগজে-কলমে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদটাই যা একটু বাকি ছিল। গত ৩১ মে তা-ও সম্পন্ন হলো। দু’জনই তালাকের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেললেন পারিবারিক আদালতে। তবে ব্যাপারটি মোটেও সহজ ছিল না। বরং আদালতে সৃষ্টি হয়েছিল দারুণ অপ্রীতিকর অবস্থার। আর সেই অবস্থা সামাল দিতে এগিয়ে আসেন কারিনার স্বামী সাইফ।
সকাল এগারোটায় কারিশমা ও সঞ্জয় নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা আদালতে আসেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে আদালতের পরিবেশ হয়ে ওঠে যুদ্ধক্ষেত্র! কারিশমা ও সঞ্জয় উভয়ে একে অপরের প্রতি নানা অভিযোগ আর তিক্ততা প্রকাশ করতে থাকেন। পরিস্থিতি রীতিমত জনসম্মুখে ঝগড়ার মতন অবস্থায় পৌঁছে যায়।
এ সময় আদালতে ছিলেন কারিশমার ছোট বোন কারিনা কাপুর খানের স্বামী সাইফ আলী খান। তার মনে হচ্ছিল, যতই সময় যাবে এই ক্ষোভ আরও চড়াও হবে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাই কারিশমা ও সঞ্জয়কে আলাদা ডেকে কথা বলেন ছোট নবাব। এবং এতেই কাজ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু কী এমন বলেছিলেন সাইফ আলী খান?
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘রাগ কমিয়ে একটু রিল্যাক্স হও আর মাথা ঠান্ডা করো। তোমাদের একে অন্যকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই। বরং এতে আরও বেশি ঝামেলা হবে।’
এ সময় নিজের প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়াছাড়ির স্মৃতি রোমন্থন করেন সাইফ। এবং এক সময় সঞ্জয় ও কারিশমাও ব্যাপারটি বুঝতে পারেন ও তালাক নামায় স্বাক্ষর করেন।