আজও সেতু হয়নি রাজীবপুরের বড়াইবাড়ি সড়কে : চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা
রৌমারীর কর্তিমারী বাজার থেকে বাড়াইবাড়ি ছিটমহল পর্যন্ত একমাত্র যোগাযোগের সড়কটির অবস্থা ভালো নয়। ৭কিলোমিটার ওই সড়কের চারটি স্থানে সেতু নিমার্ণ না হওয়ায় সীমান্ত ঘেষা ১০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। সড়কে কোনো ভ্যান রিকশা চলাচল করতে পারে না। ফলে পায়ে হেঁটে সীমান্তবাসির যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জোয়ানদেরও দুর্ভোগের অন্তথাকে না। এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি ওই সড়কে সেতু নির্মাণের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কর্তিমারী বড়াইবাড়ি সড়কের চারস্থানে সেতু নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। বাওয়ারগ্রাম, কাশিয়াবাড়ি, চুলিয়ারচর ও বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের কাছে সীমান্ত ঘেষা কালোনদীতে সেতু নির্মানের দাবি এলাকাবাসির। সেতু না থাকায় কাশিয়াবাড়ি, বাওয়ারগ্রাম, চুলিয়ারচর, বারবান্দা, বড়াইবাড়ি, ঝাউবাড়ি, খেওয়াচর, আলগারচর, যাদুরচর গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। বন্যার সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সীমান্তের মানুষ।
বারবান্দা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান সংসদ সদস্য রুহুল আমিন জানান, ২০০১ সালের বড়াইবাড়ি যুদ্ধের সময় একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে বিজিবি জোয়ান ও মালামাল পৌছানো বিলম্ব হয়েছিল। সময় মতো বিজিবি জোয়ানদের পৌছানো যায়নি। এতে বড়াইবাড়ি ছিটমহল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা প্রায় দখলই নিয়েছিল। সাধারণ মানুষ যদি প্রতিরোধ গড়ে না তুলত তাহলে আজ বড়াইবাড়ি ভারতের দখলে থাকত। ওই সময় তখনকার কয়েকজন মন্ত্রী এলাকায় এসে প্রকাশ্যে জনসভায় ঘোষানা দিয়েছিলেন কর্তিমারী থেকে বড়াইবাড়ি ছিটমহল পর্যন্ত পাকা সড়ক ও সেতু নিমার্ণ করা হবে। কিন্তু ১২ বছরেও তা কিছুই হয়নি।
বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ জানান, আমাদের যে কী দুর্ভোগে পড়তে হয় তা বলে শেষ করা যাবে না। একমাত্র সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় না থাকায় সীমান্তে নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। কোনো গাড়ি ঢোকে না। মালামাল পৌছাতে এক দিকে দুর্ভোগ অন্যদিকে খরচ বেশি সময়ও যায় বেশি।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, কর্তিমারী বড়াইবাড়ি সড়কের কাশিয়াবাড়ি ও চুরিয়ারচর দুই স্থানে সেতু নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।