খুলনায় ডাকাতির টাকাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
ডাকাতির টাকাসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাসহ ৭ জনকে আটক করেছে খুলনার ডুমুরিয়া থানা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া টাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. মশিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের ডুমুরিয়া থানার জিলেরডাঙ্গায় মাছ পরিবহনের ট্রাক আটকে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা ডাকাতি করা হয়। কয়রা উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন এ ঘটনায় ট্রাকচালক সিরাজুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
পুলিশ ট্রাকচালক সিরাজুলকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ডাকাতদের নাম প্রকাশ করে।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশ গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করে। তারা হলেন- নগরীর রেলগেট এলাকার মো. হাবিবুর রহমান (২৮), দৌলতপুর এলাকার কাজী ইব্রাহিম ওরফে মার্শাল (৩৪), দেয়ানা এলাকার ইবাদ আলী মোড়ল (২৮), মিন্টু মুন্সী (৩৬), সাজেদুর রহমান বাপ্পী (৩০) ও মাছ ব্যবসায়ী কয়রা এলাকার আছাদুল হক (৩০)।
তাদের কাছ থেকে পৃথকভাবে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ডাকাত চক্রের মূলহোতা কয়রা এলাকার জনৈক রেজওয়ান ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে আটকরা জানান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া উপ-পরিদর্শক আজারুল ইসলাম জানান, আটক হাবিবুর রহমান বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছে। কাজী ইব্রাহিম ওরফে মার্শাল (৩৪) নিজেকে সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের ফুফাতো ভাই বলে দাবি করেছে। ইবাদ আলী মোড়ল (২৮) যুবলীগ দৌলতপুর থানা শাখার সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে।