যৌন নিপীড়ন থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচান, মনে রাখুন ৮টি জরুরী কথা
হুট করেই আজকাল কেমন যেন বদলে গেছে ছোট্ট মেয়েটা। কোন পুরুষমানুষ দেখলেই ভয়ে সিটিয়ে যায় যেন ভুত দেখছে! কথাবার্তাও কম বলে, খেলতেও যেতে চায় না। ওথচ প্রজাপতির মত চঞ্চল মেয়েটা আগে তো এমন ছিলো না! যে হাবিব চাচাকে ওর এতো পছন্দ ছিলো, সে বাসায় এলে সামনেই যেতে চায় না, নিতে গেলে চিৎকার করে ওঠে!
এ বিষয়টি কিন্তু খুব অস্বাভাবিক বা আনকমন কিছু নয়। কিন্তু এর পেছনে অন্য কোন কারণের বদলে যদি থাকে যৌন নির্যাতন! আপনার ছোট্ট মেয়েটি আপনার একটু এসচাতনতার কারনে খুব কাছের কোন পুরুষের কাছ থেকে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না তো?
আর ভাবছেন যৌন নিপীড়ন কেবল কন্যা শিশুদের সাথে ঘটে? তাহলে আপনার এই ধারণা একদম ভুল। ছেলে শিশুরাও অহরহ এই যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়ে থাকে এবং হচ্ছে। নিজের পুরুষ আত্মীয়দের দ্বারা তো অবশ্যই। এছাড়াও কাজের মেয়ে বা এমন ধরনের কারো দ্বারাও নির্যাতিত হয়ে থাকে ছেলে শিশুরা।
জেনে নিন আপনার সন্তানটিকে যৌন নীপিড়ন থেকে সুরক্ষিত রাখার ৮টি উপায়:
আপনার সন্তানটিকে কোন পুরুষ আত্মীয়ের কোলে বসা থেকে বিরত থাকতে বলুন। চাচা, মামা যেই হোক না কেন! মেয়ে সন্তান হলে পুরুষ যে কারো কাছেই যেতে দেয়া অনুচিত। ছেলে সন্তান হলে কেবল একান্ত ভরসার মানুষদের কাছে যেতে দিন।
আপনার শিশুটি যখন ২ বছর বয়েসে পা দেবে সেই সময় থেকে বাবা মা হিসেবে তার সামনে পোষাক পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন।
কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যাতে আপনার মেয়ের সাথে “আমি ওর স্বামী” বা “ও আমার স্ত্রী” এ ধরনের দুষ্টুমি না করে খেয়াল রাখুন।
আপনার সন্তানটি যখন বাইরে খেলতে যাচ্ছে খেয়াল রাখুন কী ধরনের খেলা সে খেলছে। কারণ অনেক সময় বয়েসে বড়দের কাছ থেকে খেলার ছলে যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে সে।
কোন বিশেষ কারো কাছাকাছি যদি আপনার সন্তান যেতে না চায়, অথবা অতিরিক্ত কৌতুহল দেখায়, খেয়াল রাখুন, হয়তো যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে সে।
বয়ঃসন্ধিকালে আপনার সন্তানকে যৌন বিষয় সম্পর্ক সম্পর্কিত ধারণা দিন। নয়ত সে তার আশপাশ থেকে নানা ভুল তথ্য গ্রহণ করবে।
৩ বছর বয়স থেকেই আপনার শিশুকে শরীরের ব্যক্তিগত অংশগুলো নিজে পরিষ্কার করতে শেখান এবং অন্য কেউ যাতে এসব অংশ স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সচেতন করে করে তুলুন।
যখন আপনার শিশু কোন পুরুষ আত্মীয় বা অতিথি সম্পর্কে নালিশ করছে, দয়া করে মান সম্মানের চিন্তা করে চুপ করে থাকবেন না। প্রতিবাদ করুন।
সাবধান থাকুন। আর যদি দুর্ঘটনা ঘটেই যায়, সামাজিক মান সম্মান আর আত্মীয়তার খাতিরে চুপ করে থাকবেন না। প্রতিবাদ করুন দৃঢ়তার সাথে। আপনার কন্যা সন্তানটিকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখান।