সনদ জাল করার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে নোটিশ
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদ জালিয়াতি করে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হয়েছেন৷ এই অভিযোগে তাঁকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন সংগঠনের এক কর্মী৷নোটিশে বলা হয়েছে, জসিম সনদ জালিয়াতি করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছেন৷ এ জন্য তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
নোটিশের কপি জসিমসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ১২ জনকে দেওয়া হয়েছে৷ গত বুধবার সংগঠনের কর্মী ও ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. আল ইমরান ওই নোটিশ পাঠান৷
নোটিশে বলা হয়েছে, জসিম তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার যে সনদ দেখিয়েছেন, তা জালিয়াতি করে তৈরি করেছেন৷ ওই ভুয়া সনদ দিয়ে তিনি ২০১০ সালে সরকারি বরিশাল কলেজে বিএসএস স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হন৷
অথচ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের সদস্য হতে হলে যে কাউকে অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়স ও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে৷ জসিম উদ্দিন ছাত্র না হয়েও জালিয়াতি করে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদ অবৈধভাবে বহাল রয়েছেন৷ নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ওই পদ থেকে পদত্যাগ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান আল ইমরান৷
সনদ জাল করার ব্যাপারে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি মহল উকিল নোটিশ দিয়েছে৷ আমি এসএসসি ও এইচএসসি সঠিকভাবেই পাস করেছি৷’
এত দিনে নোটিশ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আল ইমরান বলেন, ‘জসিম উদ্দিনের নিকটাত্মীয় আমার বন্ধু৷ তাঁর মাধ্যমে বেশ কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি যে জসিম মাদ্রাসা থেকে পাস করেছেন৷ অথচ তিনি তিমিরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন সনদ দাখিল করেছেন৷’
সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম মজিবুর রহমান বলেন, ‘নোটিশের এক কপি পেয়েছি৷ সনদ জালিয়াতি হয়ে থাকলে সে জন্য দায়ী হবে শিক্ষা বোর্ড৷ আর সনদ জালিয়াতির সত্যতা মিললে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি বাতিল করবে৷’