শিক্ষকের যৌন নির্যাতনে গৃহবন্দী ছাত্রী!
রৌমারী উপজেলার কোমড়ভাঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী লোকলজ্জার ভয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। একপ্রকার গৃহবন্দী হয়েই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুলের সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী বেশ কিছুদিন থেকে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। ওই শিক্ষক স্কুলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করে থাকেন, সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেটও পড়ান।
স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়ানো শেষ হওয়ার পর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। গত সোমবার (২ জুন) ওই ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
স্কুলের প্রধানশিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ‘অভিযোগটি পাওয়ার পর গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসা হয়েছিল। বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষককে হাজির থাকতে বলা হলেও তিনি থাকেননি। অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীকে শোকজ করা হবে। এর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচানোর জন্য এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রধানশিক্ষক আর স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।’
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তা না হলে তাদের মেয়ে ওই স্কুলে আর যাবে না।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ জন্য আমার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে।’