আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবাসীর: শ্রীবরদীতে বন্য হাতির আত্রমণে ১ জন আহত
রোম্মান আরা পারভীন রুমী: শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে শনিবার সন্ধায় বন্য হাতির আক্রমণে ১ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহত ইরফান (২২) বালীজুরি গ্রামের মফিজল হকের ছেলে। প্রথমে তাকে শ্রীবরদী ও পরে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ২ শতাধিক বন্যহাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে উপজেলার সীমান্তবর্তী সিংগাবরুনা ও রাণীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মানুষের বসত বাড়িতে হামলা করছে। শনিবার সকাল থেকেই হাতির দল ২ দলে বিভক্ত হয়ে রাণীশিমুল ইউনিয়ের ফরেষ্ট রেঞ্চ অফিস ও খ্রিস্টান পাড়া এলাকায় দুই দিক থেকে অবস্থান নেয়। এ সময় এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে গেলে হাতির দলের আক্রমণে ইরফান গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে তাকে শ্রীবরদী হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরজমিনে বালিজুরি খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকশ হাতি ২টি দলে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করছে। বন্য হাতির হামলার ভয়ে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অনেকেই এলাকা ছেড়েছে। ইউপি সদস্য ছোহরাব, রফিকুল, মোস্তফা, আমিনুল সহ এলাকাবাসীরা জানায়, ২০০০ সালের পর থেকে বন্য হাতির দল সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছে। তাছাড়া ভারতীয় সীমান্তের কাটা তারের বেড়া ঘেষে বিদ্যুতের বাতি থাকায় বন্যহাতির দল ভারত অংশে যায় না। এলাকাবাসীরা আরো জানায়, ক্ষেতের ধান উঠে যাওয়ায় ও পাহাড়ে খাদ্য না থাকায় হাতির দল মানুষের বসতবাড়িতে আক্রমণ করছে। বাড়ির উঠোনে কাঠাল ও ঘরের গোলার ধান খেয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান মতে এ পর্যন্ত এ অঞ্চলে বন্য হাতির আক্রমণে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু ও শতাধিক লোক পঙ্গু হয়েছে।শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন দুলাল বলেন, বন্য হাতির আতঙ্কে সীমান্তবাসীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে মৃত্যু ও স্থায়ী পঙ্গুত্বের সংখ্যা। তিনি এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও অসহায় মানুষের জান মাল রক্ষার্থে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাহায্য কামনা করেছেন।