যমুনা সার কারখানায় ত্রিফলে ঢাকা ৪৬ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার: নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

98-220x150দেশের সর্ববৃহৎ দৈনিক ১৭শ’ মে.টন ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা কোং লিঃ (জেএফসিএল)-এ খোলা আকাশের নীচে ত্রিফলে ঢাকা ৪৬ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার বস্তাবন্দি অবস্থায় মজুদ রয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বর্ষা মৌসুমে এই বিপুল পরিমাণ সার রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হবার আশঙ্কায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। খোলা আকাশের নীচে রাখা এই বিপুল পরিমাণ সার দ্রুত ডিলারদের মধ্যে বন্টনের জোর দাবী জানান- তারাকান্দি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, লেখক, গবেষক সরকার আবুল হোসেন।যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কারখানায় সর্বমোট ৯১ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে বাল্ক গোড়াইন ও কারখানার গোড়াউনে ৪৪ হাজার ৮শ’ ১৪ মে.টন এবং কারখানা ও কলোনীর রাস্তায় ত্রিফলে ঢাকা ৪৬ হাজার ১শ’ ১০মে.টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সার মজুদ রেখে ২জুন/১৪ রোববার সকাল ৮ ঘটিকায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটির ওভারহোলিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে যমুনা সার কারখানাস্থ তারাকান্দি ট্রান্সর্পোট এজেন্সি মালিক সমিতি সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জামালপুর-শেরপুর-টাঙ্গাইলসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় সার সরবরাহ করতো। কিন্তু গত ৪মাস যাবৎ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় সার পরিবহন বন্ধ থাকায় কারখানায় ৪৬ হাজার মে.টন সার অতিরিক্ত মজদু হয়েছে। যেটা চলতি বর্ষা মৌসুমে খোলা আকাশের নীচে রাখায় বিপুল পরিমাণ সার নষ্ট হবে। সূত্র আরো জানায়, প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে যমুনার ইউরিয়া সারের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও একটি মহল ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, কোন মাসে কোন জেলায় কত মে.টন সার বরাদ্দ পাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন হাত নেই। কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোঃ মঞ্জুর রেজা জানান, কারখানায় বর্তমানে ৯১ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার মে.টন সার ত্রিফলে ঢাকা অবস্থায় কারখানা ও কলোনীর রাস্তায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বরাদ্দপত্র পওয়ার পর দ্রুত খোলা আকাশের নীচে রাখা সারগুলো ডিলারদের মধ্যে বন্টন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, খোলা আকাশের নীচে রাখায় কিছু পরিমাণ সার নষ্ট হবে। তবে জমাটবাধা ও ছেড়াফাটা বস্তার সারগুলো রি-বেগিং-এর জন্য বেগিং শাখায় পাঠানো হবে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইখলাছ উদ্দীন জানান, যমুনা সার কারখানায় ৯১ হাজার মে.টন ইউরিয়া সার মজুদ রেখে ২জুন/১৪ রোববার সকাল ৮টার দিকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে ৩৫ দিনে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারহোলিং-এর কাজ সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অত্যাধনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই কারখানায় ওভারহোলিং-এর কাজ সম্পন্ন করে পুরোদমে উৎপাদনে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

98-220x150

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend