বিদেশি বন্ধুদের জন্য নতুন ক্রেস্ট!
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি বন্ধুদের দেওয়া সম্মাননা ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশের পর খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে ফের তৈরি নতুন ক্রেস্ট পাঠানো হবে সম্মাননাপ্রাপ্তদের।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর কাছে পাঠানো চিঠিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশিত হয়।
এ জালিয়াতির ঘটনা জানাজানির পর এ নিয়ে শহীদ পরিবারের এক সদস্য নতুন করে ক্রেস্ট তৈরি করে হাইকমিশনের মাধ্যমে বিদেশি বন্ধুদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
এ রিট আবেদনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তিনি মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, সোমবার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির বিষয়ে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির তদন্তের পর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নিয়ে খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে ক্রেস্ট তৈরি করে বিদেশি বন্ধুদের কাছে পাঠানো হবে।
মনজিল মোরসেদ আরো জানান, আপাতত রিট আবেদনটি কার্যতালিকার বাইরে রয়েছে। যদি নতুন ক্রেস্ট না পাঠায় তাহলে আমরা রিট আবেদনটি শুনানির উদ্যোগ নেবো।
স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননা দেয় সরকার। সম্মাননার স্মারক হিসেবে বিশিষ্টজনদের একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্রেস্টে এক ভরি স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপা থাকার কথা ছিল। কিন্তু সম্মাননা দেওয়ার সময় বিএসটিআইয়ে একটি ক্রেস্ট পরীক্ষা করায় মন্ত্রণালয়। তাতে দেখা যায়, ক্রেস্টটিতে এক ভরির জায়গায় সোয়া তিন আনা স্বর্ণ এবং ৩০ ভরি রুপার বদলে ৩০ ভরি পিতল, তামা ও দস্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রকাশিত খবরের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত কমিটি নথিপত্র পর্যালোচনা ও বিভিন্ন পর্যায়ের মতামত নিয়ে এবং একটি ক্রেস্ট সংগ্রহ করে আবার পরীক্ষা করায়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই ক্রেস্টে স্বর্ণ বা রুপার কোনো অস্তিত্বই নেই।