নখে সুচ ঢুকিয়ে পরিচারিকা নির্যাতন, পাঁচ ছাত্রী গ্রেপ্তার
যশোরের স্টেডিয়াম পাড়ায় একটি ছাত্রীনিবাসে আটকে রেখে বেদম পিটিয়ে ও নখে সুচ ঢুকিয়ে এক পরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রীনিবাসের কয়েকজন ছাত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আকলিমা বেগম (৪৫) নামের ওই পরিচারিকা মামলা করেছেন।
তাঁরা সবাই সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজে সম্মান শ্রেণিতে পড়ছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুঠোফোন ও ট্যাব চুরির অভিযোগ তুলে এ নির্যাতন চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে আকলিমাকে দিয়ে মুঠোফোনে তাঁর মেয়েকে ডাকিয়ে তাকেও (মেয়ে) পেটানো হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশ নির্যাতনের শিকার মা-মেয়েকে উদ্ধার করেছে। নির্যাতনের শিকার আকলিমার বাড়ি শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায়। তাঁর মেয়ে শিলা আকতার (১৬) এ বছর শহরের মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে।
নির্যাতনের শিকার আকলিমা বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার সকালে রান্না করে বাড়িতে ফেরার সময় সাতটার দিকে মেয়েরা আমাকে ডেকে এক ঘরে আটকে বলে মোবাইল আর ট্যাব চুরি করেছিস কেন? ফেরত দে। চুরির কথা অস্বীকার করলে তাঁরা আটজন আমার দুই হাত আর দুই পায়ে লাঠি দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে। দু হাতের আঙুলের মধ্যে সুচ ফোটাতে থাকে। পরে তাঁরা স্থানীয় দুই ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে দিয়ে ফোন করিয়ে মেয়েকে ডাকিয়ে তাকেও মারধর করে। দুই দিন ধরে বাড়িতে না ফেরার কারণে প্রতিবেশীরা ওই মেসে আমাদের খোঁজ করতে এসে জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।’
গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রীরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁরা কাউকে মারেননি। মেরেছে স্থানীয় ছেলে রাজু। বাড়ির মালিক রাজুকে ডাকতে বলেছিলেন বলে তাঁরা জানান।
যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গৃহপরিচারিকা আকলিমার হাতের আঙুলের সুচ ঢুকিয়ে ও দুই হাতে-পায়ে বেদম পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর মেয়েকেও পেটানো হয়েছে। উদ্ধার করে তাঁদের চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।