বকশীগঞ্জে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাশ করছে খোলা আকাশের নিচে
টর্ণেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর কো- অপারেটিভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করে। ফলে এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার চরম বিঘœ ঘটছে। জানা যায়, ১ একর জমির উপর ১৯৯২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত এবং ২০০০ সালে এমপিও ভূক্ত হয়। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন করে বিদ্যালয়টি। গত ২৮ মে বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের গোপালপুর, সারমারা, শিলপাড়া ও নয়াপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে প্রবল বেগে টর্ণেডো আঘাত হানে। মূহূর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় ৫টি গ্রাম। নিহত হয় ২ কৃষক। কমপক্ষে ১ শ জন আহত হয়। একই সময় টর্ণেডোতে বিধ্বস্ত হয় গোপালপুর কো-অপারেটিভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি ভবন। সেখানে ধ্বংস লীলা ছাড়া আর কিছুই নেই। আবাসিক এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নানা রকম ত্রান সামগ্রী বরাদ্ধ হলেও এই বিদ্যালয় ভবন সংস্কার বা পুন:নির্মানের জন্য কোন অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। ফলে বগারচর ইউনিয়নের একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে ও প্রচন্ড রোধে পুড়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করছে।
স্কুল ছাত্রী রুজিনা আক্তার জানান, সামনে আমাদের পরীক্ষা। স্কুল ভবন না থাকায় খোলা আকাশের নিচে কষ্ট করে ক্লাশ করছি। ফলে পড়া লেখার চরম বিঘœ ঘটছে। সহজে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছিনা।
নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তিথী জানায়,টর্নেডোয় আমাদের বাড়িঘর বিধ্বস্থ হওয়ায় আমরা কষ্ট পেলেও স্কুল ঘর উড়ে যাওয়ায় বেশি কষ্ট পেয়েছি। আমাদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
গোপালপুর কো- অপারেটিভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই স্কুলের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কোন বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি। তবে সমাজ সেবক এমদাদুল হক ৫ বান্ডিল ঢেউটিন দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, গোপালপুর কো-অপারেটিভ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে। অর্থবরাদ্ধ পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।