আরেকটি ধ্রুপদি লড়াইয়ের অপেক্ষায় হজসন
ফুটবলপ্রেমীরা যে জমজমাট একটা বিশ্বকাপই উপভোগ করতে পারবেন, তেমন ইঙ্গিত মিলেছে প্রথম দুই দিনেই। শুরুতেই অনেক রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছে এবারের বিশ্বকাপ। স্পেন-হল্যান্ডের আক্রমণাত্মক লড়াইটি নিশ্চিতভাবেই মন জয় করে নিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। আজকের আরেকটি বড় ম্যাচের উত্তাপ-উত্তেজনার টের পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসন।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত চারটায় মুখোমুখি হবে ইতালি ও ইংল্যান্ড। ‘ডি’ গ্রুপের মৃত্যুকূপ পেরোনোর জন্য শুরুটা নিশ্চয়ই জয় দিয়েই করতে চাইবে বিশ্বকাপজয়ী এই দুই দেশ। কিন্তু শুধু জয়ের দিকে তাকিয়ে ইংল্যান্ড রক্ষণাত্মক কোনো কৌশলের আশ্রয় নেবে না বলেই জানালেন হজসন।
বিশ্বকাপটা যে রকম উত্তেজনা ছড়িয়ে শুরু হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের শুরুটা যেভাবে হয়েছে আশা করছি সেটার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আমরা খুবই আক্রমণাত্মক ফুটবল দেখেছি। সবকিছুর বিনিময়ে কোনো দল শুধু রক্ষণাত্মক খেলছে, এমনটা দেখা যায়নি। দুই দলকে একে অপরের ওপর চড়াও হতে দেখেছি।’
আজ ইতালির বিপক্ষে ইংল্যান্ডও এ রকম আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলবে বলে জানালেন হজসন, ‘আমরা সব সময় এভাবে খেলার চেষ্টা করি। ইংল্যান্ড শুধুই গোল ঠেকিয়েছে, আক্রমণে যায়নি—এমনটা আমরা বিগত বছরগুলোতে দেখিনি। আর এখানেও তেমন কিছু করার কোনো প্রবণতা আমাদের নিশ্চিতভাবেই নেই।’
গতবারের চেয়ে অনেক তরুণতর দল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে ইংল্যান্ড। আজ ইতালির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দলের প্রধান স্ট্রাইকার হিসেবে দেখা যাবে ড্যানিয়েল স্টারিজকে। তাঁর পেছনেই থাকবেন ওয়েইন রুনি, অ্যাডাম লালানা ও ড্যানি ওয়েলব্যাক বা রাহিম স্টারলিং।
হজসন আজ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে মাঠে না-ও নামাতে পারেন। তেমনটা হলে মাঝমাঠে স্টিভেন জেরার্ডের সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে তরুণ মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসনকে।
বিশ্বকাপে এর আগে একবারই ইতালির মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৯৯০ সালে। সেবার ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইংলিশ ফুটবলারদের। ২০১২ সালের ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল ইতালি। সূত্র: রয়টার্স