ভয় পেলেও ২০১০ এ আর ফিরবে না আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপে ফেভারিটের তকমা গায়ে মেখেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মাটিতে হাজির আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর শিরোপা-খরা ঘোচানোর সুযোগ এসেছে তাদের সামনে। তবে আশার মাঝে কিন্তু ভয়ও আছে। যে ভয়ের জন্মটা ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দেখে! তবে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের মত তাদের রক্ষণভাগের দীনতা আর ফিরে আসবে না বলে আর্জেন্টাইনরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে ব্রাজিলিয়ানরা। তবে নেইমারদের বেশ ভুগিয়ে ক্রোয়েশিয়া। এতে চোখ কপালে উঠেছে আর্জেন্টাইনদের। তাদের ক্ষেত্রেও এটা ঘটতে পারে। ১৬ জুন বসনিয়া-হার্জেগভিনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মেসিদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে। এই ম্যাচ নিয়েই রীতিমত চিন্তায় বিভোর আর্জেন্টিনা শিবির। কোনো দলকেই ছোট করে দেখছেন না তারা।
তাই নিজেদের প্রথম ম্যাচে বসনিয়ার বিপক্ষে সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে চান আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেতা, ব্রাজিলের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার পারফরম্যান্স ও আমাদের বিপক্ষে বসনিয়ার পারফরম্যান্স একই হতে পারে। পূর্ব ইউরোপের খেলার ধরনে বেশ মিল রয়েছে। তাদের শারীরিক গঠনও প্রায় সমান।
তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আর্জেন্টাইনরা প্রস্তুত। জয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছে তারা। যে কথা আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন জাবালেতা, প্রত্যেকটি ম্যাচেই আমরা ভালো খেলতে চাই। নিজেদের সেরাটা বিলিয়ে দিয়ে জয় তুলে নিতে আমরা প্রস্তুত। গ্রুপপর্বে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকেই পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করব।
এবারের ব্রাজিল বিশ্বকাপে সেই পুরোনো প্রশ্নটিই ঘুরে-ফিরে আসছে। তবে সে ভয়কে উড়িয়ে দিয়ে অনুশীলন ক্যাম্পে দলের মুখপাত্র হয়ে সেই প্রশ্নগুলোরই উত্তর দিলেন আর্জেন্টাইন রক্ষণসেনা এজেকিয়েল গারাই, আমাদের নিয়ে অনেক কথাবার্তাই হয়। একটি কথাই বলতে চাই, রক্ষণভাগের ভুলগুলো অতীতেই ফেলে এসেছি। ওসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। চাই সামনের দিকে তাকাতে। চিরদিনের ভঙ্গুর রক্ষণকে সাবেলা যে ঢেলে সাজিয়েছেন, সে কথাই সবাইকে জানাতে চাইলেন গারাই, আর্জেন্টিনা সব সময়ই খুব আক্রমণাত্মক দল। তবে অন্যান্য প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনা করে নিজেদের রক্ষণটাকেও শক্ত-পোক্ত করতে হবে আমাদের। এ জন্য যা যা করার, সবকিছুই করে দেখাব আমরা।