সাড়ে ৬ ঘণ্টায়ও অবরোধ তোলেননি বিহারিরা
দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টায়ও অবরোধ তুলে নেননি পল্লবীর কালসি বিহারি ক্যাম্পের অদিবাসীরা।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিহারিরা ক্যাম্পের সামনে কালসি সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তারা রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে অবরোধ করে আছেন। অবশ্য অবরোধ তুলে দেওয়ার কোনো চেষ্টা করেনি পুলিশও। ক্যাম্পের অধিবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দিলেও কার্যত পুলিশকে নীরব দেখা যাচ্ছে।
পল্লবী থানার ওসি সৈয়দ জিয়াউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করলে আমরা তা প্রতিহত করবো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবারের সহিংস ঘটনায় ১০ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও আটক বিহারিদের মুক্তির দাবিতে সকাল ৯টার পরপরই পল্লবীর বিহারি ক্যাম্পের অধিবাসীরা কালশী ডিওএইচএস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা মাইক ব্যবহার করে স্লোগান দিচ্ছেন। আর সহিংস ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করছেন। পাশাপাশি পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো বিহারিদের মুক্তি দাবি করছে।
ক্যাম্পের বাসিন্দা সুলতান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, যতোক্ষণ না পর্যন্ত নিহত বিহারিদের লাশ এসে না পৌঁছাবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা অবরোধ করে রাখবো।
তিনি বলেন, আমাদের বিহারি ক্যাম্পের প্রায় ১০/১৫ জন লোককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তাদেরকে ছাড়তে হবে।
ঘটনায় দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে বলেও তিনি জানান।
ক্যাম্পের বাসিন্দা জাফর বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের এ পর্যন্ত কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, যারা আগুন দিলো তাদেরকে পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি অথচ আমাদের ক্যাম্পের লোকদের ধরে নিয়ে গেছে। উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পল্লবী থানার ওসি সৈয়দ জিয়াউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনায় মোট ৬টি মামলা হয়েছে। মামলা আরো হতে পারে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি। তারা উচ্ছৃঙ্খল হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, কতোজন গ্রেফতার রয়েছে, সেটি কৌশলগত কারণে বলা যাচ্ছে না।
পবিত্র শবে বরাতের রাতে পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোরে স্থানীয়, বিহারি ও পুলিশের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৯ জনসহ ১০ জন নিহত হন।