ঘুষের অভিযোগ, দুদকের দুই কর্মকর্তাকে শোকজ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে ৩৭ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এ দুই কর্মকর্তা হলেন—বগুড়া দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ হোসেন ও প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা। ভয়ভীতি দেখিয়ে গুলশানের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেনের কাছ থেকে এই দুই উপপরিচালক ৩৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এসব কথা জানান দুদকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দীন। তিনি বলেন, দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে ৩৭ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া এবং আরও ২০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে অভিযোগ বিষয়ে প্রমাণসহ জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক সূত্র জানায়, ওই দুই উপপরিচালক মোবারক হোসেনের নামে একটি বেনামি ও ভুয়া ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ তৈরি করেন। পরে সেই অভিযোগের ভয় দেখিয়ে তাঁরা মোবারক হোসেনের কাছ থেকে একটি দামি ক্যামেরা ও নগদ অর্থ মিলিয়ে মোট ৩৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এ ছাড়া আরও ২০ লাখ টাকা ওই ব্যবসায়ীর কাছে দাবি করেছিলেন তাঁরা।