শ্যামনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আটক ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিতে ধর্ষিতার বাড়িতে হামলা, আহত চার
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কালিঞ্চী পল্লীতে মুনছুর (৩৮) নামের এক ধর্ষককে হাতে নাতে আটক করায় ধর্ষকের ভাই ইউপি সদস্য তাঁর লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ধর্ষিতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রসীদের বেধড়ক মারপিটে ধর্ষিতাসহ চার জন গুরুতর আহত হন। আহতদের শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ও এলাকাবাসী থেকে জানা যায়, নয় বছর ঘর-সংসার করার পর কয়েক মাস আগে এক ছেলে সন্তানসহ ওই গৃহবধূকে তাড়িয়ে দেন স্বামী মহাসীন দর্জি। সেই থেকে কালিঞ্চী গ্রামে বাবার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে তিনি থাকেন। বাবা ও ভাইয়েরা বনজীবী হওয়ায় জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রায় সময় সুন্দরবনে কাটাতে হয়। তাই পুরুষ শূন্য বাড়ি হওয়ার সুযোগে মেম্বরের ভাই মুনছুর আলী প্রায়ই ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিত। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লম্পট মুনছুর সোমবার গভীর রাতে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকার দিতে চাইলে ধর্ষক মুনছুর ছুরি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ধর্ষিতার চাচাত বোন রোখসানা বুঝতে পেরে চিৎকার দেয়। এ সময় প্রতিবেশীরা এসে ধর্ষককে আটক করে। এ খবর শুনে ধর্ষকের ভাই সোহারাব মেম্বার তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধর্ষিতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধর্ষক মুনছুরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের বেধড়ক মারপিটে গুরুতর আহত হন ধর্ষিতা ও তার চাচাতো বোন, প্রতিবেশী রফিকুল গাজী ও মফিজুল ইসলাম। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রোখসানা প্রেগনেন্ট। তাঁর পেটে প্রচণ্ড আঘাত লাগায় সন্তানের অবস্থা কি পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না।