জমির উদ্দিনের দুই ছেলের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে দুদক
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) প্রায় ৩০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপির নেতা জমির উদ্দিন সরকারের দুই ছেলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁরা হলেন নওফেল জমির ও নওশাদ জমির। আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনের দুই ছেলে জমির টেলিকমের কর্ণধার। তাঁরা অবৈধ উপায়ে আইজিডব্লিউ জাতীয় গেটওয়ে লাইসেন্স নিয়ে বিটিসিএলের সঙ্গে ব্যবসা করছিলেন। কিন্তু বিটিসিএলের পাওনা টাকা না দিয়ে সেটা আত্মসাত্ করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া জমির টেলিকমের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
দুদকের এই কমিশনার আরও জানান, পূর্ব লন্ডনের এক প্রবাসী গত মঙ্গলবার লিখিতভাবে এসব অভিযোগ কমিশনে দাখিল করেন। সেটাকেই বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য আজ কমিশনের নিয়মিত সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিটিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে জমির টেলিকম তত্কালীন বিটিটিবির সঙ্গে বৈদেশিক কল আদান-প্রদানের জন্য চুক্তি সই করে। ২০১০ সালের মার্চে বিল অনাদায়ের কারণে তাঁদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে জমির টেলিকম হাইকোর্টে গিয়ে তাঁদের সংযোগ চালুর জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ নিয়ে আসে। ২০১০ সালের মে মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। এরপর ২০১১ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্ট জমির টেলিকমের আরবিট্রেশন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার জন্য একটি স্থায়ী আদেশ জারি করেন।
মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত জমির টেলিকমের কাছে বিটিসিএলের পাওনার পরিমাণ ৩৬০ কোটি টাকা।