বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ এমপির রুলের রায় বৃহস্পতিবার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়াকে কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না মর্মে হাইকোর্টের রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি খোরশেদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতে ষষ্ঠ অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এরপর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা তার বক্তব্য পেশ করেন। এর আগে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া কেন অবৈধ নয় মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের উপর অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ছয়জন তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, বদিউল আলম মজুমদার এ নির্বাচনকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে তাদের মতামত পেশ করেছেন। অপরদিকে আজমালুল হক কিউসি ও রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মাহমুদুল ইসলাম নির্বাচনকে আইনগতভাবে সঠিক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এ নির্বাচন নীতিগতভাবে বৈধ ছিল না বলে আদালতে ব্যাখ্যা দেন মাহমুদুল ইসলাম।
অপর অ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম তার বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেননি। তার বক্তব্য পেশ বাদ রেখেই অন্যদের বক্তব্য শুনে বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্টের এ বেঞ্চ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট ।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারির আদেশ দেন। রুলে ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদনটি করেন। পরে ওই রিটের ওপর শুনানি হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এমএস আজিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমীন সরকার।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এটি সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫(২), ১২১ ও ১২২(২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।