‘রাষ্ট্রীয়ভাবে গডফাদার লালন করলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না’
রাষ্ট্রীয়ভাবে গডফাদার লালন বন্ধ না হলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার ইনে আয়োজিত ‘নগর পরিস্থিতি: নারায়ণগঞ্জের নগর শাসন পুনর্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটউট অব গর্ভনেনস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত বৈঠকে আইভী বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গডফাদারদের লালন করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাস বন্ধ হবে না।”
এসময় নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “দুদিন পর আমার লাশও শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যেতে পারে।”
বৈঠকে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গবেষণার তথ্য প্রকাশ করে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭ জন কাউন্সিলের বেশির ভাগই মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি এবং এদের বিরুদ্ধে হত্যার মতো গুরুতর মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গ সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, “অবৈধ মাদক, ঝুট ব্যবসা ও ভূমিদস্যুর গডফাদার ঠিক করে দেন কে কাউন্সিলর হবে। এ কারণেই নারায়ণগঞ্জে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কেউ নির্বাচিত হতে পারছেন না।”
নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নের মূল প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে বলেন, “একজন আইন প্রণেতা জনগণকে বলেন ট্যাক্স না দিতে। তাহলে উন্নয়ন হবে কিভাবে?”
ভূমি দস্যুতা ও নদী দখলের জন্য নারায়ণগঞ্জের একটি মহলকে দায়ী করেন আইভী।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ড. সুলতান হাফিজ রহমান। এতে আরো বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।