খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত এবং বিচারক নিয়োগ-প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটির পক্ষে দীর্ঘ শুনানি করনে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং জয়নুল আবেদিন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত এবং এ মামলার বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রজ্ঞাপন ছাড়া বিচারক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুটি রিট আবেদন করেছিলেন।
এর আগে এ মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। এ কারণে মামলাটি শুনানির জন্য তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করার কথা হয়।
এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনালের সাংবাদিদের বলেন, ‘তারা (রিটকারী আইনজীবীরা) শুরু থেকেই একের পর এক রিট করে মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দুদকের মামলা যখন শুরু হয় তখন তারা চার্জশিটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত তা খারিজ করে দেন। মামলার অভিযোগ গঠনের সময় তারা আবার রিট আবেদন করে, এটিও খারিজ হয়ে যায়। সর্বশেষে বিচারকদের বৈধতা নিয়ে যখন তারা রিট করে তখন আদালত দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। এরপর আজকে বৃহস্পতিবার তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি শেষে এ রিট খারিজ হয়ে যায়। ফলে মামলা পরিচালনায় আর কোনো আইনগত বাধা থাকল না।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষের আইনজীবীর জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবো কি না তা দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে কথা বলে জানাবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ মামলায় তখন দ্বিধাবিভক্তির রায় দেয়া হয় তখন প্রধান বিচারপতি আমাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই একজন কনিষ্ঠ বিচারপতিকে তৃতীয় বেঞ্চের বিচার হিসেবে নিয়োগ দেন। আর এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে আমরা সঠিক বিচার পাইনি। আমরা এর নিন্দা জানাই।’
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রিটে দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিভক্ত রায় দেয়া হয়েছিলো।