ঢাকা চিড়িয়াখানায় এসেছে নতুন অতিথি
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার। কাজ করে অস্তিত্ব সংকটে থাকা প্রাণীদের নিয়ে। তাদের রেড লিস্টে ইম্পালা এবং ওয়াইল্ডবিস্টের নাম রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সারা বিশ্বের বিরল প্রাণীর তালিকায় এদের নাম। তবে খুশির খবর ঢাকা চিড়িয়াখানার ইম্পালা ও ওয়াইল্ডবিস্ট পরিবারে যোগ হয়েছে নতুন দুই সদস্য।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এনায়েত হোসেন বলেন, ইম্পালা ও ওয়াইল্ডবিস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণী। এই প্রাণী দুটি ভিন্ন পরিবেশে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত নয়। তবে আমাদের পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যায় নিয়মিত বাচ্চা প্রসব করছে এরা। নতুন দুই অতিথি পেয়ে আমরা বেশ খুশি।
ওয়াইল্ডবিস্ট শাবকের বয়স হয়েছে ১১ দিন আর ইম্পালা শাবকের বয়স ৯ দিন। নতুন বাচ্চা যোগ হওয়ায় ওয়াইল্ডবিস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ এবং ইম্পালা ৪টি। ভিনদেশি এই প্রাণীগুলো গর্ভধারণের পর থেকে বিশেষ যত্ন এবং চিকিত্সাসেবা দিতে হয়েছে। আবাসস্থলে এদের সংখ্যা কমে আসার কারণে এদের বাচ্চা প্রসব এক ধরনের গুরুত্ব বহন করে।
ঢাকা চিড়িয়াখানার বৃহত্ প্রাণী শাখার (তৃণভোজী) প্রধান কর্মকর্তা শামিম হোসেন জানান, শাবক প্রসবের পর থেকে নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে। ইম্পালা দেখতে অনেকটা হরিণের মতো। পুরুষ ইম্পালা সাধারণত ১২০ থেকে ১৬০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ওজনে ৫৩ থেকে ৭৫ কিলোগ্রাম হয়। মেয়ে ইম্পালা কিছুটা কম লম্বা হয় এবং ওজন হয় ৪০ থেকে ৫৩ কিলোগ্রাম। ১৯০ থেকে ২১০ দিন গর্ভধারণের পর ইম্পালা বাচ্চা প্রসব করে। শুধুমাত্র পুরুষ ইম্পালার শিং হয়। যা ৪৫ থেকে ৯২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কেনিয়া, মালয়, নামিবিয়াসহ দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোতে আবাসস্থল তৃণভোজী প্রাণী ইম্পালার।
অন্যদিকে পুুরুষ ওয়াইল্ডবিস্ট লম্বায় ১৫০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ২৫০ কিলোগ্রাম হয়। মেয়ে ওয়াইল্ডবিস্ট লম্বায় ১২০ সেন্টিমিটার এবং ওজনে ৮০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে। সাধারণত ধূসর কালো এবং হালকা নীল রঙের ওয়াইল্ডবিস্টের বাসস্থান দক্ষিণ আফ্রিকায়। ছোট শিং এবং হালকা বাদামি রঙের লেজবিশিষ্ট ওয়াইল্ডবিস্ট পানির কাছাকাছি অবস্থিত ঘাস আবৃত অঞ্চলে বসবাস করে। আর এ কারণেই মাংশাসি প্রাণী বিশেষ করে কুমিড়ের অন্যতম শিকারে পরিণত হয় ওয়াইল্ডবিস্ট।