সুয়ারেজই ইংল্যান্ড-হন্তারক!

 

34fccfa7ee0887d7b4810c9929e06e7c-Englandম্যাচ শেষে সাও পাওলোর করিন্থিয়ানসের গ্যালারিতে যে অংশে উরুগুয়ের দর্শকেরা ছিলেন, সেদিকে গেলেন লুইস সুয়ারেজ। অভিনন্দনের জবাব দিতে গিয়ে চোখে তাঁর অশ্রু টলমল। এমনকি অশ্রুর তোড়ে ঠিক মতো কথাও বলতে পারলেন না ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাত্কারেও। একেই বলে বিজয়ের অশ্রু! কোস্টারিকার বিপক্ষে চোটের কারণে বেঞ্চে বসে দেখতে হয়েছিল দলের পরাজয়। আজ বাঁচা-মরার লড়াইয়ে তাই ঝাঁপিয়ে পড়লেন ক্ষুধার্ত বাঘের মতো! লিভারপুল স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে উরুগুয়ের কাছে ইংল্যান্ড হারল ২-১ গোলে।৩৯ মিনিটে কাভানির দুরন্ত পাসে অসাধারণ এক হেডে গোল পেলেন সুয়ারেজ।  ছবি: রয়টার্স  ম্যাচে অবশ্য বল দখলে এগিয়ে ছিল ইংলিশরাই। সাঁড়াশি আক্রমণে কাঁপন ধরিয়েছে উরুগুয়ের রক্ষণভাগ। ড্যানিয়েল স্টারিজ-ওয়েইন রুনির বেশ কয়েকটি শট-হেড খুঁজে পায়নি জাল। বিশেষ করে ৩৭ মিনিটে রুনির দারুণ এক হেড ফিরে এসেছে বারে লেগে। ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন দুজন। দুজনই দুদলের অধিনায়ক—ডিয়েগো গডিন ও স্টিভেন জেরার্ড! সুয়ারেজ ফেরায় উরুগুয়ের আক্রমণভাগ ফিরে পেয়েছিল প্রাণ। বেশ কবার আক্রমণ চালিয়েছিল অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা। কেবল আক্রমণ করলেই তো হবে না, সুযোগের সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে হয়—তা ভালোভাবে বুঝিয়েছে লিভারপুল স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। ৩৯ মিনিটে বক্সে কাভানির অসাধারণ ক্রসটি দুর্দান্ত এক হেডে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে!ইংলিশদের বুকে চূড়ান্ত শেল দাগছেন সুয়ারেজ! লিভারপুল স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে দারুণ এক জয় পেল উরুগুয়ে। ছবি: রয়টার্স বেশ কয়েকটি গোল হাতছাড়ার পর শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পেয়েছেন রুনি। ৭৫ মিনিটে গ্লেন জনসনের পাসটি মুসলেরার সামনে দিয়ে অনায়সে চালান করে দিলেন ইউনাইটেড তারকা। বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পেলেন রুনি। ইংল্যান্ড ফিরল সমতায়।

 

ইংল্যান্ডকে কাঁদাতেই বুঝি মাঠে নেমেছিলেন ইংলিশ ফুটবল লিগ মাতানো সুয়ারেজ! ৮৪ মিনিটে জেরার্ডের ভুলের সুযোগে সেন্টার থেকে একাই বল নিয়ে চিতার ক্ষিপ্রতায় ঢুকে পড়লেন ইংল্যান্ডের বক্সে। জো হার্টকে দর্শক বানিয়ে ডান পায়ে নিলেন বুলেট গতির শট। সে শটে ইংলিশদের হূদয়টাই ভেঙে চুরমার হলো! নিয়তির কী খেলা, যাকে এতদিন মাথায় তুলে রেখেছিল, সেই সুয়ারেজ কিনা হূদয় ভাঙল ইংলিশদের! ডি-গ্রুপের চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে দুদলের পরবর্তী ম্যাচ পর্যন্ত।  রুনির হেড খুঁজে পেল না জাল!  ছবি: রয়টার্স

অবশ্য ইতিহাসটাও ইংলিশদের পক্ষে ছিল না। বিশ্বকাপে উরুগুয়ের বিপক্ষে দুবার মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড। দুবারই জয়হীন। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে উরুগুয়ে জিতেছিল ৪-২ ব্যবধানে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ০-০ ড্র। এছাড়া সাও পাওলোতে উরুগুয়ে কখনো হারেনি। ১৯৫০ বিশ্বকাপে স্পেনের সঙ্গে ড্র, আর সুইডেনকে হারিয়েছিল ৩-২ গোলে।

সাও পাওলোর করিন্থিয়ানস অ্যারেনায় হাজির ইংলিশ সমর্থকেরা। ছবি: রয়টার্সরুনির অসাধারণ হেড ফিরে এলে বারে লেগে। ছবি: রয়টার্সহ্যান্ডবল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন উরুগুয়ে অধিনায়ক ডিয়েগো গডিন। ছবি: রয়টার্সচোটাক্রান্ত আলভারো পেরেইরা। ছবি: রয়টার্স৭৫ মিনিটে আলতো টোকায় গোল করলেন রুনি। ছবি: রয়টার্সকাব ফুটবলে দুজনই খেলেন একই দলে। জাতীয় দলের ‘শত্রু’তা ভুলে চোটাক্রান্ত সুয়ারেজকে ‘ঠিক’ করতে লেগে গেলেন লিভারপুল ডিফেন্ডার গ্লেন জনসন। ছবি: রয়টার্সম্যাচ শেষে কাভানি-রুনির জার্সি বদল। ছবি: রয়টার্স‘শোকাহাত’ দুই ইংলিশ সমর্থক। ছবি: রয়টার্স

 

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend