১০ জনের গ্রিসকে হারাতে পারল না জাপান
১০ জনে পরিণত হওয়া গ্রিসের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ, ৬২ শতাংশ বল দখল, ১১টি লক্ষ্যে শট—এরপরও জয় নিয়ে ফিরতে পারল না জাপান। বারবার গ্রিসের রক্ষণভাগে হানা দিয়ে শূন্য হাতে ফিরতে হলো ‘ব্লু সামুরাই’দের। বরং জাপানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে গ্রিসের মুখে হাসি!
গ্রিসের অতিরক্ষণাত্মক, শরীর নির্ভর খেলা ব্রাজিলের মতো ফুটবল-তীর্থে বড্ড বেমানান। স্থানীয় সমর্থকেরা নিশ্চয় বিরক্ত হয়েছে ইউরোপের প্রতিনিধির খেলা দেখে। দুই দলই মুখিয়ে ছিল জয় পেতে। তবে জয়ের জন্য জাপানকেই বেশি মরিয়া দেখাল। ব্লু সামুরাইদের দুর্ভাগ্য, আক্রমণের পসরা সাজিয়েও ব্যর্থ ! গ্রিস রক্ষণ যে প্রাচীন সাম্রাজ্যের দুর্গের রুপ নেবে, সেটি আগেই জানা ছিল আলবার্তো জাকেরনির। জানার পরও বারবার চেষ্টা চালিয়েও জাপান কেন সে দুর্গ ভাঙতে পারল না, সেটি এক প্রশ্ন। ২৮ মিনিটে হোন্ডার অসাধারণ ফ্রি-কিকটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন গ্রিস গোলরক্ষক ওরেস্তিস কারনেজিস। পরবর্তীতে গোল হাতছাড়ার মহরায় একে একে যোগ দিয়েছেন ওসাকো, ওকুবু নাগাতোমোরা, উচিদা। ৫৭ মিনিটে আক্রমণাত্মক-মিডফিল্ডার শিনজে কাগাওয়াকে নামালেন আলবার্তো জাকেরনি। তবুও গোলের দেখা মিলল না।
প্রতি-আক্রমণে গ্রিস কয়েকবার আগুয়ান হয়েছে জাপান রক্ষণভাগে। অসাধারণ কয়েকটি সেভ করেছেন জাপানের গোলরক্ষক এইজি কাওয়াশিমা। বিশেষ করে ভাসিলিস তোরোসিদিসের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েছেন কাওয়াশিমা। দুই হলুদ কার্ডের যোগফল হিসেবে ৩৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গ্রিস অধিনায়ক কস্তাস কাতসুরানিস। ১০ জনে পরিণত হওয়া এ দলটিকে বাগে পেয়েও হারাতে পারল না জাকেরনির ছাত্ররা।