নেদারল্যান্ড-চিলি ম্যাচ; চিলি জিতলেই টানা ২৬ ঘণ্টা যৌনতার সুযোগ দেবেন মার্লেন
নাচগান না করেই এক ম্যারাথনে নেমেছেন মার্লেন। না, ২৬ মাইল দৌড়তে হবে না এই ম্যারাথনে৷ এ এক অন্য ম্যারাথন৷ যেখানে সফলতার একটাই শর্ত, বিশ্বকাপে পরের ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে জিততে হবে চিলিকে। তাহলেই চিলির ফুটবলপ্রেমীদের তাঁর সঙ্গে টানা ২৬ ঘণ্টা ম্যারাথন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার ‘ওপেন অফার’ দিয়েছেন মার্লেন, তাঁর ট্যুইটার আর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মারফত্।
আর তারপরেই ‘হিটের’ ঝড়ে সার্ভার ক্র্যাশ করে যাওয়ার জোগাড়। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সাময়িক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন এই পর্নস্টারের অ্যাকাউন্ট। ট্যুইটার-ফেসবুক মারফত্ আকুতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, চিলি তো বটেই, ‘সুযোগ’ না থাকলেও আবেগের সাগরে ভেসে যাওয়ার আহ্বান আসছে সাগর-মহাসাগর পেরিয়ে জাপান, তুরস্ক, জার্মানি, কোরিয়া থেকেও। সশরীরে হাজির হতে না পারলেও কয়েকটা ছবি, একটুকরো আনএডিটেড ভিডিও-এ জাতীয় নানা আব্দারে ভরে গিয়েছে তার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাকাউন্ট। ডাক আসছে দেশের বেড়া টপকে অন্য দেশে গিয়েও তাঁর উত্সব পালনে সামিল হতে সুযোগ দেওয়ার। তার জন্যে না হয় কয়েক ঘণ্টার জন্য চিলিকে সাপোর্টই করতে হল!
তবে আহ্বান-টাহ্বানের তোয়াক্কাই করছেই না মার্লেন। আর সেক্স ম্যারাথনে নামার আগে ভালোমতো গা ঘামিয়েও নিয়েছেন ‘বেবি ডল’।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল, দল জিতলে যে কেউ এসে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন। টানা ৮ ঘণ্টা। সঙ্গে দেওয়া ছিল তার মোবাইল নম্বর ও বাড়ির ঠিকানা।
দল জিতেছিল, কথাও রেখেছিলেন মার্লেন।
তবে জয়ের আনন্দে ৮ ঘণ্টায় থামা আর হয়নি, ৫০% বোনাস আওয়ার্সও পেয়েছিলেন উত্সাহীরা। টানা ১২ ঘণ্টা চলেছিল ‘উত্সব’।
পরের স্পেন ম্যাচ জিতলে অফার বেড়ে হবে ১৬ ঘণ্টার গা ঘামানোর কসরত্। যার পরে তাঁকে নিয়ে চিলির ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও শুরু হয়ে গিয়েছে ঝড়। বিশ্বজোড়া আব্দার মেটাতে মূল ম্যাচের আগে প্র্যাক্টিসের কয়েকটি ছবি, কিছু ভিডিও ক্লিপ আপলোডও করেছিলেন মার্লন। চূড়ান্ত ‘অব্যবস্থায়’ পড়ে গিয়ে নীতি-পুলিশের চাপে শেষমেশ মার্লনের অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের পর এ বার তো একেবারে বিশ্বকাপ বাম্পার অফার। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারানোর আনন্দে ১৬ ঘণ্টার অফার বেড়ে এ বার হয়েছে ২৬ ঘণ্টার একদিনের দিবারাত্রব্যাপী ম্যারাথন। যে কেউ, যে কোনও বয়সী যোগ দিতে পারেন এই মেলায়। তার বাড়িতে এসে হাজির হলেই হলো। দেখেশুনে- পছন্দসই ‘ভাগ্যবান’ পার্টনারকে সুযোগ দেবেন স্বয়ং মার্লন।
তবে ফুটবল জগতের এই আনন্দযজ্ঞে এহেন আমন্ত্রণে বিপাকে পড়েছে প্রশাসন। রাত না পোয়াতেই মার্লনের বাড়ির বাইরে বিশাল লাইন পড়ে গেছে চিলির ফুটবলপ্রেমীদের। যারা সুযোগ পেলেন তাঁরা তো বটেই, বাকিরা আরও খুশি পরের বারের ‘টাইমফ্রেম’ এক লাফে দশ ঘণ্টা বেড়ে যাওয়ায়। থার্ড টাইম লাকি হওয়ার সুযোগ তো রইল।