দাফনের চার বছর পর কবর থেকে শিক্ষিকার লাশ উত্তোলন

downloadনারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মৃত্যুর চার বছর পর বৃহস্পতিবার শাহনাজ বেগম নামের স্কুলশিক্ষিকার লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। শাহনাজ বেগমকে হত্যা করা হয়েছে পরিবারের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
শাহনাজ বেগম উত্তর লক্ষণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার বাবার নাম মৃত আবুল হোসেন ও স্বামীর নাম আবদুর রহিম।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে বন্দর উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার শাহাদ আলীর ছেলে রাহিম মিয়ার সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে শিক্ষিকা শাহনাজের। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে শাহনাজ পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করতে থাকেন। এ সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০১০ সালের জুনের শেষে শাহনাজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে তাকে ২০১০ সালের ২ জুলাই মগবাজারের রাশমনো কিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তিনি মারা যান।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ডিবির এসআই বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ঢাকার একটি কিনিকে শাহনাজ বেগমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার একটি হত্যা মামলা করে। এ মামলার তদন্তের জন্য সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বন্দরের লক্ষণখোলা কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট কিসমত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্তের পর লাশ আবারো দাফন করা হবে।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend