শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার : গ্রেফতার ৭
মুহাম্মদ আবু হেলাল, ঝিনাইগাতীঃ শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার কুখ্যাত আলী চোরা ও তার স্ত্রীসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানা সুত্রে জানা যায়, বহু অপকর্মের নায়ক আলী চোরা তার বাহিনী নিয়ে বাকাকুড়া এলাকায় শনিবার ভোর রাতে পল্লী বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার চুরির প্রস্তুতি কালে এলাকাবাসী টের পেয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে, আলী চোরা ও তার দল দৌড়ে তার নিজ বাড়ীতে এসে আশ্রয় নেয়। এসময় এলাকার শত শত লোক আলী চোরার বাড়ী ঘেরাও করে রেখে পুলিশকে খবর দিলে, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ফছিউর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে দু’দফায় তল্লাশী চালিয়ে আলী চোরার স্ত্রী সহ ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হলেন, বাকাকুড়া গ্রামের মঞ্জুরুলের ছেলে আলী(৩০), তার ছোট ভাই আনোয়ার (২২), আলীর স্ত্রী জাহানারা (২৫),বাকাকুড়ার মৃত সিরাজুলের ছেলে বাদশা (৩৫), নেত্রকোনার বড়কাইলার রজব আলীর ছেলে চান মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মইনদ্দিন (৪৫), শ্রীবরদী উপজেলার পশ্চিম ঝিনিয়া গ্রামের মৃত জামে মুন্সির ছেলে শিরাজুল (৩০) ।
গত দুদিন পূর্বেও উত্তর বাকাকুড়া এলাকা থেকে ৫ ও ১০ কেবি’র দুটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। শেরপুরের পল্লী বিদ্যুতের জিএম ও এজিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ যাবৎ এলাকায় যে ট্রান্সফরমারগুলো চুরি হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে আলী চোরার হাত রয়েছে। এলাকাবাসী আলী চোরার অত্যাচারে দীর্ঘদিন যাবৎ জিম্মি। কেহ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পুলিশ জানায়, আন্তঃ জেলা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের গ্যাং লিডার কুখ্যাত আলী চোরার বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে ৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া আলী চোরা একটি মামলার দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আপিলে সে জামিনে রয়েছে। আলী চোরার বিরুদ্ধে বর্তমানে থানায় দুইটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আলীর থাকার ঘরের বক্স খাটের ড্রয়ার থেকে ১৭ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি ও ১টি খেলনা রাইফেল উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ফছিউর রহমান বলেন, ধৃত আলী হোসেন গংদের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।