নতুন ফর্মুলা দিলেন এরশাদ
রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে ‘থ্রি-জে’ বা ‘তিন জে’ নামে নতুন একটি ফমুর্লা দিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ। ফর্মুলা প্রদানকালে তিনি বলেন, দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে। জনগণ শান্তি চায়। আর তাই দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে ‘থ্রি-জে’ ফর্মুলা দিতে বাধ্য হচ্ছে জাতীয় পার্টি। আজ শনিবার রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এ ফর্মুলা দেন। বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে ওই সম্মেলন শুরু হয়। এরশাদ বলেন, থ্রি-জে ফর্মুলার প্রথম জে- জাতীয় পার্টি, দ্বিতীয় জে- জাস্টিস বা আইনের শাসন এবং তৃতীয় জে- জব বা চাকরি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশে নৈরাজ্য চলে। একমাত্র জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলেই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশের কল্যাণে ‘থ্রি জে’ ফর্মুলা বাস্তবায়ন করবে। এরশাদ বলেন, বর্তমানে বেকার হয়ে দেশের যুবসমাজ হতাশায় ভুগছে। মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ সময় জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান এরশাদ।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ওই পন্থায় নির্বাচন দেবেনা। তখন নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি। বর্তমানে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা উঠে গেছে। জনগণ চায় বিকল্প গণতান্ত্রিক শক্তি।
জাতীয় পার্টি জনগণের সেই প্রত্যাশিত শক্তি হয়ে ক্ষমতায় যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এরশাদ বলেন, সরকার বার বার উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু দেশজুড়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। উন্নয়ন ও নৈরাজ্য একসাথে চলতে পারে না। জাতীয় পার্টি সহিংসতায় বিশ্বাস করেনা, উন্নয়নের রাজনীতি করে। নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে জনগণের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন হেলাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ স্বপন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, মহানগরের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জোহা সরকার, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন প্রমুখ।
এতে দলটির ৫৯০ জন কাউন্সিলর ও ৫ হাজার অতিথি অংশ নেন। সম্মেলনে জেলার কমিটি গঠনের কথা থাকলেও দলের চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা দিবেন বলে জানান।